গত বছর ২০২৪ সালে ৯ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালের ভিতর এক চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় এক বছর পার হয়ে গেলেও বিচার মেলেনি। বিচারের দাবিতে ফের নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে রাজপথে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নবান্ন অভিযানে শামিল হয়েছেন নির্যাতিতার মা ও বাবা। এদিন নবান্ন অভিযান ঘিরে পুলিশ যেমন প্রস্তুত ছিল তেমন হাইকোর্টের অনুমতিতে সকাল থেকেই মিছিলে পা মেলান বিজেপি কর্মীরা। মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে শহরের মূল কেন্দ্র ধৰ্মতলায়। রানি রাসমণি রোডে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। ঘোষণা চলে শান্তিপূর্ণ মিছিল কেউ ভাঙবেন না। এরপর বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের সঙ্গে ধর্মতলা মোড়ে বচসা বাঁধে। তিনি অভিযোগ তোলেন তাঁকে মিছিল নিয়ে এগোতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর তিনি বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ দেখান। বেলা ১২টা কিছু পরে বিধানসভা চত্বর থেকে দলীয় পতাকা ছাড়া জাতীয় পতাকা হাতে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও শুভেন্দু অধিকারী মিছিলে যোগ দেন। সেই মিছিলে তিলোত্তমার মা-বাবাকে নিয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। তবে প্রতি পদেই বাধা পান তিনি। একদিকে, শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতৃত্বকে যখন আটকাতে মরিয়া পুলিশ, সেই সময় পুলিশকে এড়াতে অন্য রুটে এগোতে থাকেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শেষে বাধা পেয়ে পার্ক স্ট্রিট মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল থেকে এগোনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় পার্কস্ট্রিট মোড়ে। সংঘর্ষে আহত হন এক যুবক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে সেই কারণে মাথা ফেটে গেছে। পার্ক স্ট্রিটের মুখে পুলিশ আন্দোলনকারীদের পথ আটকে দেয়। আন্দোলনকারীরা গার্ডরেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন। বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। আটক করা হয় একাধিক আন্দোলনকারীকে। পুলিশের দাবি পাল্টা পুলিশকে মারধরে তারাও আহত হয়েছেন। এরপর সময় যত গড়াতে থাকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দীর্ঘ সময় ওই জায়গায় বসে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্লোগান দেন দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ!

রাস্তায় বসেই শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গী বিধায়কদের আঘাত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা, বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। পুলিশের অত্যাচার চলছে। তবে ভুললে চলবে না, আন্দোলনও কিন্তু শেষ হয়নি। লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে আমাদের লোকজনকে। কী করেনি মনোজ ভার্মার পুলিশ? একটাও বিজেপির ঝান্ডা নেই। অথচ ১৮ জন হাসপাতালে। তাঁদের রেলের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’