কলকাতা: ব্র্যান্ডের রূপান্তরের যাত্রার অঙ্গ হিসাবে, সবচেয়ে প্রবাদপ্রতিম এবং বিশ্বস্ত চটি ও জুতোর ব্র্যান্ড বাটা ইন্ডিয়া এক তাৎপর্যপূর্ণ লাফ দিল বাটানগরের কারখানায় ₹৩০০ মিলিয়ন লগ্নি করে।
এই লগ্নি উৎপাদন উৎকর্ষ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার প্রতি কোম্পানির দায়বদ্ধতা আরও একবার দেখিয়ে দিল।
এই লগ্নির কেন্দ্রে আছে ফ্লোটজ এবং বাটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল চটি ও জুতো তৈরি করার জন্য অত্যাধুনিক পিইউডিআইপি (পলিইউরিথিন ডিরেক্ট ইনজেকশন প্রোসেস) এবং আইএম ইভিএ মেশিন বসানো।
এই পরবর্তী প্রজন্মের যন্ত্রগুলোতে থাকে রোবোটিক স্প্রেয়িং, স্বয়ংক্রিয় রাফনিং আর্মস এবং মোল্ড হ্যান্ডলিং প্রোসেস যা প্রোডাক্টের ধারাবাহিকতা, যথার্থতা এবং উৎপাদন দক্ষতার মান বাড়িয়ে দেয়।
অঞ্জন কুণ্ডু, হেড- সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট, বাটা ইন্ডিয়া লিমিটেড বলেন “এই লগ্নি, উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকীকরণের প্রতি এবং গুণমানের দিক থেকে শীর্ষে থাকার প্রতি আমাদের গভীর দায়বদ্ধতার প্রমাণ।”
তিনি আরও বলেন “আমাদের রূপান্তরের যাত্রার অঙ্গ হিসাবে বাটানগরের গৌরব ফিরিয়ে আনছি। গুণমান, উদ্ভাবন ও ক্রেতা অভিজ্ঞতার প্রতি দায়বদ্ধতা এই জায়গাটার গভীরে প্রোথিত।
বাটানগরে উন্নত মেশিনে লগ্নি করে আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে বাটা ভারতে চটি ও জুতো তৈরির মাপকাঠি হিসাবে নেতৃত্ব দানের জায়গাতেই থাকবে, নিজেকে বদলাতে থাকবে এবং মানুষের সেবা করতে থাকবে। এই সম্প্রসারণ কেবল আমাদের কাজকর্মকে শক্তিশালী করল তা নয়, ইন্ডাস্ট্রির জন্যে নতুন মাপকাঠিও বেঁধে দিল।”
এই কারখানা স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা প্রোটোকলের সর্বোচ্চ মান অনুযায়ী চলে, যাতে সার্বিক সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অনুযায়ী সমস্ত কর্মচারীর জন্য সুরক্ষিত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। বাটানগরের কারখানা কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতের জন্যই শিল্পের রূপান্তরের এক প্রতীক।

১৯৩০ সালে থমাস বাটার ঐতিহাসিক আগমন বাটানগরের অনন্য টাউনশিপ সৃষ্টির অনুঘটক হিসাবে কাজ করে। সেটা ছিল এই রাজ্যের শিল্পের চালচিত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। বাটার কারখানাগুলো এই অঞ্চলের ক্ষমতার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটায়, বাংলাকে রফতানি কেন্দ্র এবং জুতো তৈরির উৎকর্ষের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
গত এক বছরে প্রায় ১৩০ খানা নতুন স্টোর খোলা হয়েছে, যার ৫০ শতাংশের বেশি ছোট শহরে। এগুলোর মাধ্যমে ‘ভারত’-এ আন্তর্জাতিক স্টাইল ও স্বাচ্ছন্দ্যের প্রযুক্তি নিয়ে আসা হচ্ছে। ৫০০+ স্টোর সমেত বাটা ইন্ডিয়া তার ফ্র্যাঞ্চাইজ নেটওয়ার্ককেও দ্রুত সম্প্রসারিত করছে ছোট শহর এবং মহানগরগুলো জুড়ে, যাতে ফ্যাশন সকলের নাগালে আসে আর অনেককে উদ্যোগী হওয়ার সুযোগ দেওয়া যায়। বাটা তার বাটা চিলড্রেন্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত জুড়ে শিক্ষা, পরামর্শ এবং চটিজুতো পিছিয়ে পড়া শিশুদের নাগালে এনে দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে। এই কাজ অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি ও ইতিবাচক সামাজিক প্রভাবের প্রতি ব্র্যান্ডের চলতি দায়বদ্ধতার চিহ্ন।

গুণমান, সুস্থায়িতা ও উদ্ভাবনের উপর তীক্ষ্ণ নজর সমেত বাটা ইন্ডিয়া ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হেরিটেজ ব্র্যান্ড বলতে যা বোঝায় তার সংজ্ঞাই বদলে দিচ্ছে। ভারত থেকে ‘শু দ্য ওয়ার্ল্ড’ করার জন্য দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে।