পুজোর অনুদানে বিরোধীদের খোঁচা, শশীর আক্রমণ উৎসবের বাংলা

durga-puja-870x437

সপ্তর্ষি সিংহ

কলকাতায় পুজো অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো অনুদান ২৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কিন্তু পুজো অনুদান ঘোষণা করতেই ফুঁসে উঠেছে বিজেপি থেকে বাম নেতারা। তাঁদের অভিযোগ যেখানে স্কুল গুলির অবস্থা ভগ্ন প্রায়। শিক্ষকরা রাস্তায় বসে রয়েছে। সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিএ থেকে বঞ্চিত তাহলে রাজ্য সরকার কিভাবে ক্লাব গুলিকে অনুদান দিচ্ছে? সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির কর্তা ও বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানান, ‘সরকারি টাকায় উনি নিলাম করলেন, নিলাম করে ক্লাব কিনলেন। ৮৫ হাজার, ৯০ হাজার ১ লক্ষ, ১ লক্ষ ১০ হাজার বলেও তিনবার হাতুড়ি ঠুকে দিলেন।’ তিনি বলেছেন, বাংলার মেহনতি মানুষের মাথায় হাতুড়ি মারলেন। যারা ডিএর জন্য লড়াই করছেন তাদের বঞ্চিত করলেন।অনুদানের বিরুদ্ধে সরব বাম নেতা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্য সরকারের টাকা নেই বলে রাস্তা হচ্ছে না। রাস্তায় মানুষ মরছে। সরকারের টাকা নেই বলে স্কুল কলেজের ১২টা বেজে গিয়েছে। সরকারের টাকা নেই বলে কাজের কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না। ওগুলো চলুক। কিন্তু মেলা-খেলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এক ইঞ্চিও সরবেন না। কারণ ভোট।’রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা বলেন, দুর্গাপুজোতে যখন অনুদান দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন তখন তিনি জানিয়েছিলেন, এই উৎসবে বৃহৎ টাকার লেন দেন হয় ফলে শ্রমিকদের কাছে এটা একটা রুজি রোজগারের জায়গা। ফলে সেই দিকটা খাটো করে দেখানোর কোনো জায়গা নেই। বিরোধীরা এই বিষয়টি কেন খাটো করে দেখছে? যারা দুর্গাপুজোকে আইটি দিয়ে প্রমোট করে তাঁরা বাঙালির দুর্গাপুজোর আবেগ কখনো বুঝবে না। পুজোকে ঘিরে যেভাবে বাংলায় পর্যটন তৈরী হয় তা টার্গেট করছে বিরোধীরা। তাঁর সংযোজন, শুধু দুর্গাপুজোয় অনুদান তো রাজ্য সরকার দেয় না মহিলাদের স্বনির্ভরতা থেকে কন্যাদের পড়াশোনার খরচের জন্য কন্যাশ্রী যে কোনো সাহায্যে রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু সেখানে বিরোধীদের অসুবিধা তাঁরা সব জায়গায় বিরোধীতার সুর খুঁজে পায়। একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সেই জায়গা থেকে বারবার বিরোধীরা আক্রমন করছেন। রাজ্যে এত কাজ হচ্ছে আর কেন্দ্র সরকার বাংলায় টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে। ১০০ দিনের শ্রমিকদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে যা দুর্ভাগ্যজনক।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement