ফরেক্স ট্রেডিংয়ের নাম করে প্রায় দেড় কোটিরও বেশি টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ। আর এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছিল নারায়ানপুরের ব্রিজেস ঘোষের সঙ্গে। তিনি আদতে দুর্গাপুরের বাসিন্দা। তাঁকে প্রথমে দেওয়া হয় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের টোপ। পাশাপাশি একটি অ্যাপও ডাউনলোড করতে বলা হয় তাঁকে। যা আদতে একটি ভুয়ো অ্যাপ। এরপই তার কাছ থেকে দফায় দফায় হাতিয়ে নেওয়া হয় ১ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা।
টাকা দেওয়ার পর ব্রিজেসবাবুকে আশ্বাসের বাণীও শুনিয়েছিল প্রতারকেরা। জানানো হয় তাঁর টাকা ভালই খাটছে। ভালই হচ্ছে ট্রেডিং। বিনিয়োগ লাভও উঠে আসছে। ভাল উপার্জনও হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ কথা শুনে মুখে হাসি ফুটে ওঠে ব্রিজেসবাবুর। কিন্তু, এর পিছনে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে প্রতারকেরা। এরইমধ্যে নিজের বিনিয়োগ করা টাকা তুলতে চান ব্রিজেসবাবু। আর তখনই সবটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনও টাকাই তুলতে পারেননি। তখনই বুঝতে পারেন তিনি বড়সড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এরপর গত ১৭ জুন গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্রিজেসবাবু। অভিযোগ পাওয়ার পরই তত্পর হয় পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে ইকবালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বিহারের বাসিন্দা এস কে মোহাম্মদকে। এদিনই তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তাঁর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সে কারণেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাতে চাইছেন পুলিশ কর্তারা।