সাংবাদিকের চরিত্রের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ শুভশ্রীর

pro

কলকাতা: কাজ, সংসার-সন্তান… সব দিক সমান্তরালভাবে ব্যালেন্স করছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর ঝুলিতেও বর্তমানে ডাকসাইটে সব ছবির চরিত্র। একদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’, অন্যদিকে ‘রায়বাঘিনী ভবশঙ্করী’, দুই পিরিয়ড ড্রামার বাঘা চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। উপরন্তু তাঁর ‘গৃহপ্রবেশ’ পারফরম্যান্স বহুল প্রশংসিত হয়েছে সিনেসমালোচক থেকে দর্শকমহলে। সামনেই আবার ‘ধূমকেতু’র রিলিজ। সবমিলিয়ে টলিপাড়ার অন্যতম শশব্যস্ত তারকা বর্তমানে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কেরিয়ারে বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকলেও কাজে কোনও ফাঁক রাখেন না। অর্থাৎ দর্শকরা তাঁকে যে পরিমাণ ভালোবাসা দেন, তিনিও ততটাই উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। এবার পরবর্তী কাজ শুরুর প্রাক্কালেও কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন অভিনেত্রী। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় নাকি আজকাল নাইট শিফট করছেন! শুক্রবার রাতেই সেই ঝলক ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সকালে ‘ধূমকেতু’র প্রচার, রাতে ‘গৃহপ্রবেশ’-এর সাকসেস পার্টি, নায়িকার পায়ের তলায় যেন সরষে। আর এসবের মাঝেই রাত জেগে তাঁর নাইট শিফট করার কারণ কী? আসলে শুভশ্রী খুব শিগগিরিই তাঁর পরবর্তী সিরিজ অনুসন্ধান-এর কাজ শুরু করতে চলেছেন। অদিতি রায় পরিচালিত নারীকেন্দ্রিক সেই গল্পের মুখ্য ভূমিকায় শুভশ্রী। এই সিরিজে তাঁকে দেখা যাবে এক দাপুটে সাংবাদিকের ভূমিকায়। নতুন চরিত্র, নতুন চ্যালেঞ্জ। গল্পটা কীরকম? এক মহিলা সংশোধনাগারে পর পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন কারাবন্দিরা। যেখানে কোনও পুরুষ প্রবেশের অনুমতি নেই। সেই জেলে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? সাংবাদিকের ভূমিকায় ‘অনুসন্ধান’ করবেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই চরিত্রের প্রস্তুতি নিতেই নাইট শিফট নায়িকার। আসলে দিনভর ব্যস্ততার পর শুক্রবার রাতে ‘অনুসন্ধান’-এর চিত্রনাট্য নিয়ে বসেছিলেন তিনি। সেই ছবি শেয়ার করেই ক্যাপশনে ‘নাইট শিফট’ লিখেছেন শুভশ্রী।‘পরিণীতা’র পর থেকেই ছক ভেঙে একের পর এক সিনেমা, সিরিজে দর্শক, অনুরাগীদের মুগ্ধ করেছেন অভিনেত্রী। কখনও ডিগ্ল্যাম চরিত্রে কখনও বা আবার বৃদ্ধার ভূমিকায় চরিত্রের প্রয়োজনে বারবার নিজেকে ভেঙেচুরে ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছেন শুভশ্রী। তাঁর বিগত দেড় দশকের ফিল্মি কেরিয়ারে ফ্লপের সংখ্যাও তেমন নেই বললেও অত্যুক্তি হয় না। কমার্শিয়াল ছবিতে দেব-জিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে যেমন হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন, তেমনই আবার ছক ভেঙে দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এ দক্ষ অভিনেত্রীর পরিচয় দিয়েছেন। সেই তালিকায় অবশ্য ‘বিসমিল্লাহ’, ‘ধর্মযুদ্ধ’, ‘সন্তান’, ‘হাবজি গাবজি’র মতো ছবিও রয়েছে। প্রতিবার কখনও বিরোহিনী প্রেমিকার ভূমিকায়, কখনও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আবার কখনও বা মায়ের চরিত্রে, সব ভূমিকাতেই সমানভাবে লড়ে যাওয়া শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে সম্প্রতি বড় সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। পরিচালকের মন্তব্য, “শুভশ্রী এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, ওঁর কাঁধে কিন্তু বাংলা সিনেমার দায়িত্ব চাপতে চলেছে। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে।”

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement