হিমঘরে সংকটে আলু! আশঙ্কায় মালিকরা

IMG-20250727-WA0005

সপ্তর্ষি সিংহ

আলুর দাম নিয়ে চাষিদের মধ্যে চরম অসন্তোষ। হিমঘরে রাখা আলুর জন্য কেজি প্রতি মাত্র ৬-৭ টাকা দাম পাচ্ছেন চাষিরা। এদিকে এই আলুই খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ১৯ টাকা দরে। ব্যাপক লাভ করছেন ফড়ে ও বড় ব্যবসায়ীরা। মাঝখান দিয়ে চাষিরা পড়েছেন চরম আর্থিক সঙ্কটে। অথচ হিমঘরে মজুত রাখা আলুর দাম এতটাই কম যে, খরচও উঠছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন। কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোশিয়েশন শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরে হিমঘরে যে বিপুল পরিমাণ আলু পড়ে রয়েছে তাতে ন্যায্য দাম দিতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়।
একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষে আলুর বিপুল উৎপাদন হয়েছে। কৃষকরা আলু উৎপাদন করেও রাজ্যের ৫০০ হিমঘরে আলু পচে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন হিমঘর মালিক এসোসিয়েশন। চলতি বছর ৯১ শতাংশ আলুর ফলন হয়েছে যা প্রায় ১১০ লক্ষ মেট্রিকটন। সরকার যে পরিমান আলুর ফলন হওয়ার আশা করেছিল এবছর তার থেকে অতিরিক্ত ফলন হওয়ায় আলুর ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। এই পরিস্থিতিতে বাকি ৪ মাসের মধ্যে হিমঘরে রাখা সম্পূর্ণ আলু বাইরে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে বলে তাঁরা জানান।
চলতি বছর রাজ্যের হিমঘরে ৭০.৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুদ করা হয়েছিল। আলু উৎপাদনের ৬০:৪০ অনুপাতে বাজারে যায়। যার ৬০% রাজ্যের মধ্যে ব্যবহার করা হয়। বাকি ৪০% অন্যান্য রাজ্যে চলে যায়। কিন্তু গত বছর আন্তঃরাজ্য আলুর পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার কারণে, প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আগের জাতের আলুও হিমঘরে সংরক্ষণ করা ছিল। যে কারণে হিমঘরে রেকর্ড পরিমাণ আলু মজুদ রয়েছে।
কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল কুমার রানা বলেন, “পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দামের মধ্যে বর্তমান বৈষম্য অস্থিতিশীল। এটি সরাসরি কৃষকদের ক্ষতি করছে। যারা এই মরশুমে প্রায় ৮০% ফসল সংরক্ষণ করেছেন। সরকারকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয়, আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য এবং মিড-ডে মিলের মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে আলুর ব্যবহার যাতে বাড়ানো হয় এই পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করছি।”

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement