টলিপাড়ার সুপারস্টার প্রসেনজিতের এক উদ্যোগের প্রশংসা করতে শোনা গেল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার আলিপুরে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মহানায়ক সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রসেনজিতের এই ‘আইডিয়া’র কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘প্রসেনজিৎ একটা ভাল আইডিয়া করেছে, একটা মডেল করেছে। অফিসাররা দেখে এসে আমায় জানিয়েছে। আমাদের ভাল লেগেছে মডেলটা।’
এই মডেল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘প্রায় ১০০টা জায়গায় ৪০-৫০ জন বসার মতো একটা সিনেমা ঘর তৈরি করছে প্রসেনজিৎ। মডেলটা দেখে খুশি হয়েছি আমরা। এটা হলে বুথ স্তরে, তৃণমূল স্তরে, প্রত্যন্ত গ্রামে সিনেমাগুলি দেখতে পাবেন সকলে। সিনেমার চাহিদা বাড়বে ওরা যে সিনেমাগুলি তৈরি করে, তার মার্কেট পাবে। কর্মসংস্থান হবে।’
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে টলিপাড়ায় রাজ করছেন প্রসেনজিৎ। তিনি মানেই ‘ইন্ডাস্ট্রি’। মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি ভিন্ন ধারার ছবিতেও নিজের অভিনয়ের জাত চিনিয়েছেন টালিগঞ্জের ফিল্মি পাড়ার ‘বুম্বা’। রুপোলি পর্দা, ছোট পর্দার পাশাপাশি হাল আমলের ওটিটিতেও তাক লাগিয়েছেন প্রসেনজিৎ। সিনেমা যে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান, তা সর্বজনবিদিত। বাংলা ছবির হাল ফেরানোয় প্রসেনজিতের অবদানও অপরিসীম। বর্তমানে মাল্টিপ্লেক্সের যুগে বহু সিঙ্গল স্ক্রিনের সিনেমা হলই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে বাংলা ছবির ব্যবসা অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। আবার, হল কমে যাওয়ায় অনেক ছবিই মুক্তির পর সমস্যা পড়ে। এতে বাণিজ্যিক দিক থেকেও ক্ষতি হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘সিনেমা ঘর’ তৈরি নিয়ে প্রসেনজিতের উদ্যোগের যেভাবে প্রশংসা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তা উল্লেখযোগ্য। তবে ‘সিনেমা ঘর’ নিয়ে বিশদে আর কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।