বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সংসদ। নানা ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেস সহ বিরোধী সাংসদদের। বিক্ষোভের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। এদিন লোকসভায় ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে বিরোধীরা।তাতে হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়। আবার রাজ্যসভায় বিরোধীরা বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। ফলে সেখানেও হইচই শুরু হয়ে যায়। ফলে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষ। এদিনই সংসদের বাইরে ইন্ডিয়া জোট নানা ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেখানে দেখা যায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকেও। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়। তারপরেই কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা আসন ছেড়ে বেরিয়ে এসে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আলোচনার দাবি তুলতে থাকেন। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সেই সময় তাঁদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। ওই সময় কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধীদের অনুরোধ করেন তিনি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও বিরোধীদের নিজ নিজ আসনে বসার জন্য অনুরোধ করেন। অধিবেশন কক্ষে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান না-দেওয়ার জন্যও সাংসদদের উদ্দেশে বলেন তিনি। কিন্তু এর পরেও হট্টগোল চলতে থাকে। ফলে প্রথমে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন তিনি। দুপুর ১২টার সময় ফের লোকসভার অধিবেশন বসলে আবার ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল জানান, স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে সরকার যে কোনও বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। বিরোধী সাংসদদের আসনে গিয়ে বসার অনুরোধ করেন তিনি। এর পরেও হট্টগোল চলায় দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করা হয়। এই সময় সংসদের বাইরেও ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব-সহ অন্য বিরোধী সাংসদেরা সংসদ কক্ষের বাইরে এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অন্য দিকে, রাজ্যসভাতেও নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সমীক্ষা নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার কারণে মঙ্গলবার রাজ্যসভার কার্যক্রম পরিচালনা করেন উচ্চকক্ষের ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। অধিবেশনের শুরুতেই দশ জন বিরোধী সাংসদ অবিলম্বে এই প্রসঙ্গে আলোচনার দাবি তোলেন। ধনখড়ের ইস্তফা নিয়েও আলোচনার দাবি তোলেন এক সাংসদ। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করা হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। পরে দুপুর ১২টায় অধিবেশন বসলে আবারও ভোটার তালিকার সংশোধনীর প্রসঙ্গে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা। যার জেরে ফের দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।