যান নিয়ন্ত্রণেপুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হাই কোর্ট

IMG-20250717-WA0123

তৃণমূলের শহিদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে শহরে যানজটের সৃষ্টি না হয়, তা সুনিশ্চিৎ করার জন্য কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করল আদালত। সোমবার সকালে এজলাসে বসেই কলকাতা পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা নিয়ে দু’দিন আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন বিচারপতি ঘোষ। কলকাতা পুলিশের এলাকায় যাবতীয় মিছিল সকাল ৮টার আগে এবং ১১টার পরে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
আদালতের নির্দেশ ছিল, সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে কোনও যানজট যাতে হাইকোর্টের কাছে না হয়, সেই বিষয়েও বিশেষ নজর দিতে হবে। নজর রাখতে হবে, মধ্য কলকাতার যানজটেও। কোনও অফিস-যাত্রীকে যাতে ভুগতে না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলে আদালত। সেই নির্দেশ যথাযথ পালন করেছে কলকাতা পুলিশ। এমনটাই মনে করে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ভাল ভাবে যান নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। পুলিশ কাজ করেছে।’’ তখন আদালতে এক আইনজীবী জানান, অন্যান্য দিন নিউ আলিপুর থেকে হাই কোর্টে পৌঁছোতে তাঁর ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। সোমবারও তা-ই লেগেছে। তখন বিচারপতি ঘোষ জানান, স্বাভাবিক সময়ই লেগেছে। রাস্তায় ট্র্যাফিকের কোনও সমস্যা নেই। সভা শুরু হওয়ার আগের মতোই সভা ভাঙার পরেও কলকাতা, বিশেষত মধ্য কলকাতায় যানজট নজরে পড়েনি। রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ সকাল থেকেই ছিল। সমাবেশ উপলক্ষে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা কলকাতায় এসেছিলেন। অনেকে সোমবার সকালে এসেছেন। কেউ কেউ আবার রবিবার রাত থেকেই ধর্মতলায় বসে ছিলেন। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে বিশাল দু’টি মিছিল ধর্মতলার দিকে রওনা দিয়েছিল। উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতা থেকেও বড় মিছিল এসেছিল ধর্মতলায়। সকাল থেকেই গার্ডরেল দিয়ে ধর্মতলার সভাস্থলে যাওয়ার একাধিক রাস্তা আটকে দিয়েছিল পুলিশ। পরিবর্তে অন্য রাস্তা দিয়ে বাস এবং বাকি গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে বড় কোনও সমস্যা বা বিশাল যানজট হয়নি। সার সার গাড়ি থাকলেও সেগুলি নড়াচড়া করেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাস্তার উপরে তৃণমূলের মঞ্চ থাকায় যানবাহনের গতি মন্থর হয়েছে। কিন্তু শহর স্তব্ধ হয়নি কখনও। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে রাস্তায় মিছিলও দেখা যায়নি সে ভাবে। তবে রাস্তার পাশে সার দিয়ে বাস দাঁড়িয়েছিল। শিয়ালদহ থেকে মৌলালির রাস্তায় ব্যারিকেড করে রান্নাবান্নাও করেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পাত পেড়ে চলেছে খাওয়াদাওয়া। তবে ভোগান্তি থাকলেও তা রাস্তায় যানজটের কারণে হয়নি। নিত্যযাত্রীরা তা-ও মেনে নিয়েছেন। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শহরকে নির্দিষ্ট সময়ে মিছিল এবং যানজট থেকে মুক্ত রাখতে পেরেছে পুলিশ।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement