লর্ডস: লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ড হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সময় রবীন্দ্র জাডেজা আম্পায়ারদের নির্দেশ মানেননি! মাঠের আম্পায়ারেরা একাধিক বার অনুরোধ করলেও তিনি নাকি পাত্তাই দেননি। ইচ্ছাকৃত দীর্ঘায়িত করেছিলেন জলপানের বিরতি। ভারতের অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক আর্থারটন। তৃতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজদের নিয়ে ম্যাচ জেতার মরিয়া লড়াই করেছিলেন জাডেজা। ২২ গজের এক দিক আগলে রেখে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও দিয়েছিলেন। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। সে সময়ই তিনি নাকি ইচ্ছাকৃত সময় নষ্ট করেছেন। জলপানের বিরতির সময় আম্পায়ারেরা দ্রুত খেলা শুরু করার নির্দেশ দিলেও তিনি নাকি কর্ণপাতই করেননি। আর্থারটন স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটারদের থেকে এখন আম্পায়ারদের উপর নজর রাখা হয়। জানি না আম্পায়ারদের কর্তৃত্ব কেন কমে যাচ্ছে। ম্যাচে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত আম্পায়ারদের। আমার মনে হয় ডিআরএস আসার পর থেকে এটা হচ্ছে।’’ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ডিআরএস আসার আগে আম্পায়ারদের ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল। ক্রিকেট মাঠে প্রায় সর্বশক্তিমান ছিলেন তাঁরা। এখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই কমেছে। লর্ডসে একটা সময় দেখলাম, জাডেজা অনেক ক্ষণ ধরে জল খাচ্ছে। আম্পায়ার ঘড়ি দেখিয়ে দ্রুত খেলা শুরু করার জন্য বলছিলেন। কিন্তু জাডেজা তাঁকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছিল! শুধু জাডেজাই নয়। আরও কেউ কেউ বিভিন্ন অছিলায় সময় নষ্ট করেছে লর্ডসে। আমার মনে হয়, খেলার গতি বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। যতটা বেশি সম্ভব খেলার সময় কাজে লাগানো উচিত।’’ আর্থারটনের মতে, বল নিয়ে বার বার সময় নষ্ট করা হয়েছে। ব্যাট করার সময় জ্যাক ক্রলি এবং আকাশদীপের চোট পাওয়ার ঘটনা তাঁর ‘অভিনয়’ বলে মনে হয়েছে। ক্রিকেটে ডিআরএস ব্যবহারের ব্যাপ্তি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতেও খুশি নন আর্থারটন। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির অন্যতম ধারাভাষ্যকারের মতে, ডিআরএসের আবেদন নিয়েও প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘‘শুরুতে শুধু এলবিডব্লিউ আউটের জন্য ডিআরএস ব্যবহার করা হত। এখন ওয়াইড বা নো বলের জন্য ডিআরএস নেওয়া হচ্ছে। এতেও প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে।’’