অসম ট্রাইবুনাল আইনে এনআরসির চিঠি

IMG-20250716-WA0078

কোচবিহার: দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম চৌধুরীহাটের সাদিয়ালের কুঠির উত্তম ব্রজবাসী অসমের আদালতে হাজিরা দিতে গেলেন না। গত জানুয়ারি মাসে উত্তমের কাছে অসম ট্রাইবুনাল আইনে এনআরসির চিঠি পৌঁছায়। অসম ফরেনারস ট্রাইবুনাল এফটি কামরূপ (এম) সেকেন্ড করতে তা নিয়ে ইতিপূর্বে হাজিরা দেন উত্তম। কিন্তু তার দেখানো নথি যথেষ্ট নয় বলে আদালত তার কাছে পুরনো ভোটার তালিকা ও জমির নথি চেয়ে পাঠায়। সেসব কাগজপত্র নিয়ে ১৫ই জুলাই আদালতে হাজির থাকা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তমের এই ঘটনা নিয়ে অসম সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি পরিচালিত অসম সরকারকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, উত্তম ব্রজবাসী অসমের বাসিন্দা নন। কয়েক পুরুষ ধরে তারা দিনহাটায় বসবাস করছে। দিনহাটার সাদিয়ালের কুঠি এলাকার বাসিন্দা। তার নামে নোটিশ পাঠিয়ে ওই ব্যক্তিকে সমস্যায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশ আশায় স্বাভাবিকভাবেই ওই পরিবার উদ্বেগে থাকাটা স্বাভাবিক। আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি সব রকম ভাবে তাকে সহযোগিতা করা হবে। ইতিমধ্যে অসম সরকারের এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।এদিকে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, দিনহাটার উত্তম রজবাসীর পাশাপাশি এবার বক্সিরহাটের আরতী ঘোষের একই অবস্থা। দলের পক্ষ থেকে কেন্দের বিজেপি পরিচালিত সরকার এবং আসন সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এই দুই ঘটনা ছাড়াও এনআরসির বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার ১৫ই জুলাই ছিল তার হাজিরা দেওয়ার শেষ দিন। তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে আলোচনার পর তাদেরই নির্দেশে এ দিন উত্তম কিছুটা সময় বাড়িতে কাটালেও বাকিটা সময় অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করলেন বলে জানা গিয়েছে। চৌধুরীহাট অঞ্চল তৃণমূল নেতা বাবলু বর্মণ বলেন,”উত্তম আসাম পুলিশের ভয়ে বাড়িতে থাকেন না। কখনও কখনও এরর জমিতে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা যায়। দলের পক্ষ থেকেই উত্তমকে আসামে হাজিরা দিতে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ও চৌধুরীহাটেই রয়েছে। তৃণমূল উত্তমের পাশেই রয়েছে।এদিন উত্তম ব্রজবাসীকে একাধিকবার ফোন করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী মামনি বর্মণ বলেন,” যদি আসাম পুলিশ আসে তাই আতঙ্কে বাড়িতে থাকছে না। কখনও কখনও এসে দেখা করে আবার চলে যায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী উদয়ন গুহ সহ অন্যান্য নেতারা আসামে হাজিরা দিতে যাওয়ার কথা বারণ করেছে। তাই এ দিন হাজিরা দেওয়ার শেষ দিন থাকলেও যায়নি। সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,” উত্তম ব্রজবাসীর কাছে যে নোটিশ এসেছে তাতে উল্লেখ রয়েছে ১৫ জুলাই হাজিরা দেওয়ার শেষ দিন। তিনি হাজিরা দিতে গিয়েছেন কিনা জানিনা। তবে তিনি চৌধুরীহাটেই রয়েছেন।বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন,” তৃণমূল এনআরসি এনআরসি করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। মানুষ এদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement