চলতি মাসেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর পঞ্চায়েতগুলির কাজের মূল্যায়ন শুরু করতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সারা বছরই এই উন্নয়নমূলক কাজের মূল্যায়ন বা মার্কসিট পর্যালোচনা করে নবান্ন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জেলায় জেলায় ছুটে গিয়ে এই ধরনের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণাও করেন।প্রতি জেলায় প্রশাসনিক সভায় সংশ্লিষ্ট জেলা তাদের পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার পর তা কড়া হাতে পর্যালোচনা করেন স্বয়ং এই সর্বময় নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ২৬-এর বিধানসভার আগে ফের একবার সেই দফতরের কাজের ক্ষতিয়ান নেওয়া শুরু করেছে নবান্ন। সূত্র বলছে, গ্রামে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে কোন পর্যায়ে রয়েছে তারই মূল্যায়ন করবে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, এই বারের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নতুন কিছু বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল পঞ্চায়েতের নিজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশ জনস্বার্থে খরচ করার যে নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়ম আদৌ কার্যকরী হয়েছে কি-না সেটাই ক্ষতিয়ে দেখবে রাজ্য। মূলত বাংলার গ্রামাঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে গতি আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। যে কারণে কাজের পর্যালোচনা, সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দফতরকে একাধিকবার নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য। তৈরি হয়েছে নতুন পোর্টালও। পঞ্চায়েত দফতরের কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে সেই গতিকেই নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য। প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের মতে, অনেক ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত গুলি নানা ভাবে আয় করলেও পরিকল্পনা মাফিক সেই অর্থ ব্যায় করা হয় না। সেই রোগটাই এবার কাটাতে চাইছে রাজ্য সরকার। গত রাজ্য বাজেটে সব থেকে বেশি ব্যয়বরাদ্দ হয়েছিল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন খাতেই। সরকারি ভাবে এর ব্যাখ্যা হল, ১০০ দিনের কাজ, গ্রাম সড়ক যোজনার মতো গ্রামীণ এলাকার প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য না মেটানোয় রাজ্যকেই নিজেদের কোষাগার থেকে সেই প্রকল্প চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই গ্রামীণ এলাকার জন্য বরাদ্দ অনেকটাই বৃদ্ধি করতে হয়েছে। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই বর্ধিত বরাদ্দের অর্থ কোন খাতে কতটা সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ব্যাবহার করা হয়েছে, তারই পর্যালোচনা শুরু করছে নবান্ন।