নয়াদিল্লি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের সব কাজ একে একে কেড়ে নেবে? এই প্রশ্ন হালফিলের নয়। এআই গবেষণায় উন্নতির সূচনালগ্ন থেকেই এমন আশঙ্কা অনেকেই করেছেন। কিন্তু ‘সিঁদুরে মেঘ’ এবার বুঝি আরও দূরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এক এআই গবেষকের দাবি, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের প্রায় সব কাজই কেড়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিন্তু এরপরও থেকে যাবে তিনটি কাজ। অ্যাডাম ডর নামের ওই বিশেষজ্ঞ ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে সব চাকরি হারাতে হবে। তবে এরপরও তিনটি কাজ এআইয়ের ‘গ্রাস’ থেকে বেঁচে যাবে। কেননা সেই কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোনও ভূমিকা এখনও পর্যন্ত নেই। রাজনীতিবিদ, যৌনকর্মী এবং নীতি নির্ধারকরা রয়েছেন এই পেশায়। ডরের হুঁশিয়ারি, ”ভাবতে পারে এমন যন্ত্র ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। আর তাদের ক্ষমতা দিনে দিনে বাড়ছে। যার কোনও সীমা-পরিসীমা লক্ষ করা যায় না। আর এর মোকাবিলা করার মতো সময়ও আমাদের হাতে নেই।” এদিকে জিওফ্রে হিন্টন, যাঁকে ‘এআইয়ের ঠাকুরদা’ বলা হয় তিনিও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও ওপেনএআই সিইও স্যাম অল্টম্যান কিংবা মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুনের মতে, এআই কাজের বাজারকে আমূল বদলে দেবে। সে কেবল চাকরি খাবে তা নয়, চাকরির নতুন ক্ষেত্রের উদ্ভাবনও করবে। তবে সেই চাকরি আমাদের চেনা চাকরির কাঠামোর সঙ্গে মিলবে না। উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে কৃত্রিম মেধার বাড়বাড়ন্ত যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে চাকরির বাজারে সংকট তৈরি হবে এটা ঠিক, তবে তার সঙ্গে চাকরির বিকল্প রাস্তাও খুলে যাবে এটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই। এই বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানিয়েছিলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির প্রয়োজন যেমন রয়েছে তেমনই চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে খুব বিশেষ প্রভাব না পড়ে তা দেখা উচিত।