চার্লিজ থেরন, ৪৯ বছরের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী। যে অভিনেত্রীকে সাধারণত খোলামেলা স্বীকারোক্তির মানুষ বলা যায় না, এবার নিজেই শিরোনামে। তাঁর আগামী ছবি ‘দ্য ওল্ড গার্ড ২’-এর প্রচারে এসে এক পডকাস্টে এমন এক স্বীকারোক্তি দিলেন তিনি, যা শুনে ভিরমি খাচ্ছে ইন্টারনেট! “আমি সদ্যই একটা ২৬ বছরের ছেলের সঙ্গে সহবাস করলাম—এবং সেটা অসাধারণ ছিল!” এই কথাটি যখন থেরন বলেন, তখন সঞ্চালক তো চিৎকার করে বলেই ফেলেন— “ তাহলে এইমুহূর্তে এই পৃথিবীর সবথেকে সৌভাগ্যবান পুরুষ ও!” চার্লিজ হেসে জবাব দেন, “সে অবশ্য তা ভাবছে না, তবে ঠিক আছে… ধন্যবাদ!“ আমি খুব বেশি ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড করিনি… কিন্তু এটা অন্যরকম ছিল!” থমকে যাওয়ার মতো এই স্বীকারোক্তির আগে সঞ্চালক যখন তাঁর কাছে সহবাসের সেরা টিপ চাইলেন, থেরনের জবাব ছিল –“আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে গেলে গিলেই ফেলছিলাম! আমি সত্যি শেষ মানুষ যে এই টিপ দিতে পারবে। তবে হ্যাঁ, আমি এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছি, যেখানে আমার নিজের শরীর, নিজের পছন্দ—সব কিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে।হলিউড অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমার জীবনে এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনটে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড হয়েছে। আর সদ্য যে একটার অভিজ্ঞতা হল—আমি আগে কখনও এমন করিনি। কিন্তু এটা ছিল এক কথায় দুর্দান্ত! আর আমি ভাবছিলাম—‘হ্যাঁ রে! এটা তো আমার ২০ বছর বয়সেই করতে পারতাম! থমকে যাওয়া স্বীকারোক্তির পাশাপাশি চার্লিজ থেরনের গলায় উঠে এল এক বাস্তব জীবনের ক্লান্তি। তিনি বলেন, “ যখন প্রথম সহবাসের অভিজ্ঞতা হয় আমার, তখনই একটা লম্বা সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলাম। তারপর একটার পর একটা সম্পর্ক, তারপর মা হলাম দু’বার। তারপর যে কারওর সঙ্গে ডেট করব, নিজের যত্নআত্তি করব, মনমতোরূপসজ্জা করব—এসব করার সময়টাই বা পেলাম কোথায়? আজ তিনি দুই সন্তানের সিঙ্গল মা—জ্যাকসন (১২) ও আগস্ট (৯)। থেরনের কথায়, “সবাই চায় একটা চটপটে কিছু, সম্পর্কের রগরগে উত্তেজনা… কিন্তু বাস্তবটা কঠিন। আমি রাতের ঘুমটাকেই সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় হওয়ার রহস্য বলে মনে করি।” আসলে, থমকে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো শুধু সাহসের নয়, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখারও। থেরনের কণ্ঠে সেই আত্মবিশ্বাসের স্পষ্ট ছাপ—“৪০ পেরিয়ে আমি বুঝতে শিখেছি, আমার শরীর, আমার পছন্দ, আমার নিয়মেই চলবে। অন্য কেউ ঠিক করে দেবে না আমি কী করব, কার সঙ্গে ঘুমোব।এই ভাবনাটা শুনতে যেমন সরাসরি, তেমনই আজকের দিনের নারীদের কাছে এক দৃঢ় বার্তা— স্বাধীনতা মানে শুধু একা থাকা নয়, নিজের পছন্দে, নিজের শরীরেও স্বাধীনতা। এই জবাবগুলোই আমাদের শেখায়—নিয়মের খাঁচা শুধু তখনই ভাঙে, যখন কেউ নির্ভয়ে বলে ওঠে: “এটা আমার জীবন। আমার শরীর। তাই পছন্দও আমার!