আলো ঝলমলে জগৎ, ক্যামেরার সামনে একের পর এক আকর্ষণীয় খেলা সঙ্গে টুইস্ট-এর পর টুইস্ট। বাইরে থেকে রিয়্যালিটি শো ‘দ্য ট্রেইটরস’-এর চাকচিক্য এমনই। কিন্তু ক্যামেরার লেন্সের আড়ালে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নেওয়াটা যে কতটা ভয়ঙ্কর এবং মানসিক চাপের, তা নিজের অভিজ্ঞতায় তুলে ধরলেন প্রতিযোগী অংশুলা কাপুর। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রিয়্যালিটি শোয়ের অন্ধকার দিকটি।অংশুলার দাবি, শো-টি তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যে এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁকে মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়। তাঁর পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) ধরা পড়ে। অংশুলা সাফ জানিয়েছেন, এই শো-তে আসার আগে তাঁর এই ধরনের কোনও মানসিক সমস্যা ছিল না। তাঁর কথায়, “শো-এর পরিবেশ শুধু মানসিকভাবে ক্লান্তিকরই নয়, অত্যন্ত অস্বস্তিকরও ছিল।তবে অংশুলার এই মানসিক সমস্যার কারণ কোনও প্রতিযোগীর সঙ্গে বিবাদ বা ঝগড়া নয়। তাঁর কথায়, গোটাটাই ঘটেছে শোয়ের দমবন্ধ করা পরিবেশের কারণে। ঠিক কী ধরনের পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে? অংশুলার নিজের কথাতেই উঠে এসেছে শিউরে ওঠার মতো বিবরণ।
“দীর্ঘ ক্ষণ শুটিং নয়, আসল সমস্যা ছিল বাড়ির ভেতরের কথোপকথন এবং পরিবেশ। আমাদের ঘরে ইন্টারকম ছিল না। ঘরের নম্বরগুলো কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল, ফলে নিজের বা অন্যের ঘর চেনার উপায় ছিল না। দরজার বাইরে লাগানো ছিল উইন্ড চাইম। নিয়ম ভেঙে অসময়ে দরজা খুললেই কেউ না কেউ এসে বেরতে বারণ করত।” বলেন অংশুলা। তাঁর আরও বক্তব্য, “শো শেষে আমাকে ফের ইনটেনসিভ থেরাপি শুরু করতে হয় এবং আমার পিটিএসডি ধরা পড়ে। আমার উদ্বেগের মাত্রা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল।”