ওয়াশিংটন: ফের একবার নিজের কৃতিত্ব দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করলেন তিনি একার হাতেই ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছেন। এই যুদ্ধ পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত হতে পারত বলেও দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দুই দুই দেশকেই তিনি এক অস্ত্র ঘায়েল করেছেন। ট্রাম্পের দাবি তিনি দুই দেশকেই বলেছিলেন তাদের সঙ্গে আমেরিকার সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তিনি সরাসরি দিল্লি এবং ইসলামাবাদের কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যদি এই যুদ্ধ বন্ধ না করা হয় তাহলে তিনি দুই দেশের সঙ্গেই সমস্ত ধরণের বাণিজ্যিক চুক্তি বন্ধ করবেন।ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। এটা একটি পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত হতে পারত। এর থেকে ভাল কাজ একজন প্রেসিডেন্ট করতে পারেন না বলে ফের একবার দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার দাবি সার্বিয়া এবং কসোভোর মধ্যে এমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সেখানেও একটি বিরাট যুদ্ধ হতে পারত। সেখানেও তিনি একই ধরণের বুদ্ধি প্রয়োগ করেছিলেন। একই নীতি কাজ করেছেন ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দেশ হল ভারত। সেখানে আমেরিকার সঙ্গে তাদের বাণিজ্য আরও বাড়ানো হবে। যদিও বর্তমানে সেটি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে আগামীদিনে ফের ভারতের সঙ্গে আমেরিকার এমন বাণিজ্য হবে যা দেখে অবাক হয়ে যাবে গোটি বিশ্ব। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের নাম না করে, ফের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাক সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুর বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত কি করতে পারে। অপারেশন সিন্দুর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর নীতি বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করে তুলেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ভারতে তৈরি অস্ত্রগুলি তাদের প্রভাব দেখিয়েছে। দেশ দেখিয়ে দিয়েছে ভারতবাসীর রক্ত ঝরানো সন্ত্রাসীদের জন্য কোনও জায়গা নিরাপদ নয়। মোদি বলেন, গত ১১ বছরে তাঁর সরকার ভারতকে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে চলেছে। বিদেশের উপর নির্ভরতা কমেছে, দেশ আত্ম নির্ভর হয়ে উঠছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২২ মিনিটের মধ্যে ভারতে তৈরি অস্ত্র দিয়ে শত্রুকে নতজানু করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ভবিষ্যতে ভারতে তৈরি অস্ত্র বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের গৃহায়ন, পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য বীমা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করে বলেন যে এগুলি সমাজের বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া অংশগুলিকে ক্ষমতায়িত করেছে। গত ১১ বছরে আগের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক আইআইটি, আইআইএম এবং এইমস খোলা হয়েছে।