কলকাতা শহরের অনেকগুলি জায়গায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাণ গেছে অনেক মানুষের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমার সভাপতিত্বে কমিটি তৈরি হয়েছে। এই কমিটি এসওপি তৈরি করবে। বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই কথা বলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত সমস্ত বাজারে ফায়ার অডিট করার জন্য বলেছি। দমকলকে বলেছি, সিরিয়াসলি অডিট করে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বেসরকারি বাজারে এই অবস্থা হলে সাময়িকভাবে বাজার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া য়ামাদের কাছে আর কোনও উপায় থাকে না। ঘিঞ্জি এলাকায় দমকলের গাড়ি যাওয়া আসার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।খিদিরপুর বাজারে যেখানে আগুন লেগেছে তার আশপাশে ডিপ টিউবওয়েল থাকলেও সেই সময় সেখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদের কাছে ক্রমশ চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের প্রস্তাবের উত্তরে মেয়র বলেন, বাজার অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুড়ে গেলে সেই জায়গাতেই পুনরায় বাজার গড়ে তোলা হচ্ছে। অস্থায়ীভাবে হয়তো ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।কিন্তু আমাদের শাসনকালে কোনও অগ্নিকাণ্ডের পর সেই জায়গা থেকে ব্যবসায়ীদের স্থায়ীভাবে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন নজির কার্যত নেই। বিরোধীরা বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত খিদিরপুর বাজারের জমি রিলায়েন্স, আদানিদের হাতে তুলে দেওয়ার যে অভিযোগ বিরোধীরা করেছে, তা ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, নেতাজি সুভাষ রোড থেকে মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড-নবাব লেন ক্রসিং পর্যন্ত বেহাল রাস্তার সংস্কারকাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে।খুব শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হবে। এই কাজের সময়সীমা ৩ বছর। ২০২৭ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা। ২০২৬ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আমাদের আশা। অন্যদিকে, খাল জবরদখল প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এই বিষয়ে দু-তিনবার সেচ দফতরকে চিঠি দিয়েছি। খালগুলি জবরদখল হওয়ায় জল নামার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সেচ দফতরকে বলেছি, বেআইনি নির্মাণ হলে ভেঙ্গে ফেলতে হবে। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। পুরমন্ত্রী আরও বলেন, বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অনেক সময় পুরসভার কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তখন পুরসভার হাত-পা বাঁধা হয়ে যায়।