পাকিস্তানের সুর বদল

1734518245-3013

অপারেশন সিন্দুরের পর থেকেই আমেরিকার সুরে তাল মিলিয়েই চলছিল পাকিস্তান। এমনকি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য শনিবারই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আমরিকা ইরানে হামলা চালাতেই সুর বদল শাহবাজ সরকারের। মার্কিন হামলার নিন্দা করে পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে এই আচরণ সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে। ইরানের নিজেকে রক্ষা করার সমস্ত অধিকার রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে এই বিবৃতিতে। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই গোটা বিবৃতিতে কোথাও ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ছিল না আমেরিকার হামলার উল্লেখও। তবে মার্কিন হামলার পরেই এই বিবৃতিতে এটা স্পষ্ট যে পাক নিশানায় আমেরিকাই, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। ইজ়রায়েলের সঙ্গে গত সপ্তাহে সংঘাত যখন শুরু হয়, তখন পাকিস্তানের উপর নিজেদের ভরসার কথা প্রকাশ করেছিল ইরান। তারা জানিয়েছিল, ইজ়রায়েল যদি তেহরানে পারমাণবিক হামলা চালায়, তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশে পারমাণবিক বোমা ফেলবে পাকিস্তান। কিন্তু সংঘাতের আবহে পাকিস্তান জানায়, ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়া উচিত। সেনাপ্রধান আসিম মুনির আমেরিকা সফরেও যান। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তেহরান। নাম না করে পাকিস্তানকে বার্তাও দেয়। কিন্তু রবিবার আমেরিকা ইরানে হামলা চালানোর পরেই ভোলবদল পাকিস্তানের। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এক্সে নিজেদের বিবৃতি পোস্ট করেছে। সেই বিবৃতি পোস্ট করেছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে যে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা, পাকিস্তান তাকে ধিক্কার জানাচ্ছে। ইজ়রায়েলের হামলার পরে এই হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। এই অঞ্চলে যে ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে যে আগ্রাসন চলছে, তা উদ্বেগজনক। এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে গোটা অঞ্চলে তার প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান এ-ও জানিয়েছে যে, আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমেই এই সংঘাতে ইতি টানা সম্ভব। তা করতে হবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ মেনেই। এতদিন ইজ়রায়েলের হামলার নিন্দা করলেও আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলছিল পাকিস্তান। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণেই তিনি গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়, পরে তা বিবৃতি দিয়েও জানায় পাকিস্তান। এই আবহে শনিবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম সুপারিশ করে ইসলামাবাদ। তাতে এক প্রকার অসন্তোষই প্রকাশ করে ইরান।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement