কলকাতা: ভারতের অন্যতম অগ্রগণ্য স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি মণিপালসিগনা হেলথ ইনশিওরেন্স পূর্ব ভারতের উপর ফোকাস বাড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে ৪২টা শহরে এই বিমা কোম্পানির উপস্থিতি এবং পূর্বাঞ্চলে ১০,০০০-এর বেশি পরামর্শদাতা রয়েছেন। কোম্পানির পরিকল্পনা হল খুচরো বাজারে উপস্থিতি, শাখা নেটওয়ার্ক দ্বিগুণ করা এবং আরও ১০,০০০ পরামর্শদাতা নিয়োগ করা। এই অঞ্চলে জোরালো বৃদ্ধির পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কোম্পানি ২০২৫ আর্থিক বর্ষে ১৩০ কোটি+ গ্রস ডিরেক্ট প্রিমিয়াম রিটন তুলেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ৫৫ কোটির বেশি।জেনারেল ইনশিওরেন্স কাউন্সিল -এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, স্ট্যান্ডঅ্যালোন স্বাস্থ্য বিমাকারীরা ২০২৫ সালের মে মাসে গতবছরের তুলনায় ১০শতাংশ বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। মণিপালসিগনা ৪৩শতাংশ প্রিমিয়াম বৃদ্ধি ঘটিয়ে এই সেক্টরের বৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই বৃদ্ধি এসএএইচআই -গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ, যা মণিপালসিগনার শক্তিশালী আঞ্চলিক কৌশল এবং ক্রেতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রোডাক্ট ডিজাইনের প্রতিফলন। গত তিন বছরে কোম্পানি পূর্ব ভারত জুড়ে ২০০ কোটি হেলথ ক্লেম পে করেছে, তার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ৮০ কোটি। চিকিৎসার প্রয়োজনের মুহূর্তে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হওয়ার দায়বদ্ধতার এটা দৃষ্টান্ত। স্বপ্না দেশাই, চিফ মার্কেটিং অফিসার, মণিপালসিগনা হেলথ ইনশিওরেন্স, বললেন “পূর্ব ভারতে স্বাস্থ্য বিমার নাগাল সম্প্রসারিত করার জোরালো সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে আধা-শহর এবং ক্রমশ তৈরি হওয়া বাজারগুলোতে। সর্বাহ-র মত সমাধান – যা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ‘মিসিং মিডল’-এর জন্যে – কলকাতায় আমাদের নতুন ব্যবসায় ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখছে। সর্বাহ দিয়ে আমরা ভাল মানের চিকিৎসাকে আরও বেশি নাগালের মধ্যে এবং সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসছি।এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো এখনো জটিল। হাইপারটেনশন, ডায়বেটিস এবং হৃদরোগের মত অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। অন্যদিকে যক্ষ্মা আর ডেঙ্গুর মত সংক্রামক রোগও টিকে আছে। এই দ্বিমুখী বোঝা সার্বিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনকে চিহ্নিত করে।মণিপালসিগনার প্রোডাক্ট সম্ভার ডিজাইন করা হয়েছে একথা মাথায় রেখেই। সর্বাহ ছাড়া অন্য সেরা পারফর্ম করা প্ল্যানগুলোর মধ্যে আছে: লাইফটাইম হেলথ – পর্যাপ্ত আপোসহীন স্বাস্থ্য বিমা কভার, যা ব্যক্তির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করে, সিনিয়র সিটিজেন প্ল্যান – ব্যক্তির জীবনের সোনার বছরগুলোর জন্যে বিশেষভাবে পরিকল্পিত পরিচর্যা। আশিস যাদব, হেড – প্রোডাক্টস অ্যান্ড অপারেশনস, মণিপালসিগনা হেলথ ইনশিওরেন্স বললেন “সর্বাহ একাধিক প্রধান বাজারে ক্রেতাদের পছন্দের বাছাই হিসাবে উঠে এসেছে কারণ এতে সত্যিকারের, রোজকার স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রয়োজন মেটানো হয় সহজে এবং মূল্য সমেত। মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে এমন প্রোডাক্ট ও অভিজ্ঞতা ডিজাইন করার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার দৃষ্টান্ত এই প্ল্যান – তারা মেট্রো শহরেই থাকুন আর ছোট শহরে। আমাদের ক্রেতাদের কাছে যে জিনিসটার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি তাতে জোর দিয়ে আমরা স্বাস্থ্য বিমায় দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বাস গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।মণিপালসিগনা এই মুহূর্তে পূর্ব ভারতের প্রধান জায়গাগুলোতে ক্রিয়াশীল। আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কাজ করছে এবং অফলাইন শাখা, এজেন্ট নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পূর্ব ভারতে নিজের উপস্থিতি গভীরতর করতে করতে মণিপাল সিগনা নিজের মূল দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য – ভাল মানের চিকিৎসাকে সুরক্ষাকে প্রত্যেক ভারতীয়ের নাগালের মধ্যে, সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা এবং প্রাসঙ্গিক করে তোলা – তার প্রতি দায়বদ্ধ থাকছে। নির্দিষ্ট ফোকাস সমেত সম্প্রসারণ, সর্বাহ-র মত উদ্ভাবনীমূলক প্রোডাক্ট এবং বিশ্বস্ত পরামর্শদাতাদের বেড়ে চলানেটওয়ার্ক নিয়ে মণিপালসিগনা এই অঞ্চল জুড়ে ব্যক্তির এবং পরিবারের বদলাতে থাকা স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রয়োজন মেটাতে তৈরি।