২১ জুলাই প্রচারের মুখ স্রেফ মমতা 

IMG-20250614-WA0078

২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের মুখ স্রেফ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কারণ তৃণমূল মনে করে ২৯৪টা আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ই একমাত্র প্রার্থী।তাই এবারের ২১এ জুলাইএর মঞ্চে যে দলীয় ব্যানার থাকবে সেখানে জ্বল জ্বল করবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ।ইতি মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই বার্ষিক সমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতি এখন  তুঙ্গে। আর সেই প্রচার কৌশলের এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আবারও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সূত্রের খবর, সমাবেশের প্রচারে এবার দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কোথাও থাকছে না।তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক নিজেই।  এবং তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে প্রচারের জন্য একটি পেনড্রাইভ দেওয়া হয়েছে, যেখানে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে।এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রথমত, এটি তৃণমূলের “এক ব্যক্তি, এক পদ” নীতিকে আরও সুদৃঢ় করার একটি প্রচেষ্টা হতে পারে। অতীতে দলের মধ্যে নেতৃত্বকে ঘিরে বিভিন্ন স্তরে একাধিক নেতার ছবি ব্যবহারের প্রবণতা দেখা গেছে, যা অনেক সময় কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করে দল সম্ভবত একটি একক এবং একক নেতৃত্বের বার্তা দিতে চাইছে, যা দলের ঐক্য ও সংহতিকে তুলে ধরবে।দ্বিতীয়ত, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে দল সম্ভবত তৃণমূলের মূল স্তম্ভ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে আরও বেশি করে তুলে ধরতে চাইছে।যখন বিরোধীরা বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক দলকে আক্রমণ করছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী ভাবমূর্তি এবং তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জনসমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছো ঘাসফুল শিবির।তৃতীয়ত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আত্মত্যাগের সিদ্ধান্ত তাঁর রাজনৈতিক পরিপক্কতার ইঙ্গিত বহন করে। দলের স্বার্থে ব্যক্তিগত পরিচিতিকে দূরে রেখে নেত্রীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার এই পদক্ষেপ দলের অভ্যন্তরে তাঁর প্রতি আস্থা এবং দলকে নেতৃত্ত্ব দেওয়ার ভাবমূর্তি আরও দৃঢ় হবে। এটি দলের কর্মীদের মধ্যে একটি বার্তা দেবে যে, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঊর্ধ্বে দলের এবং নেত্রীর প্রতি আনুগত্যই সর্বাগ্রে।তবে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য কোনো রাজনৈতিক কৌশল বা অন্তর্দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু আপাতত তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তকে দলের ঐক্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করার একটি পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।তাই রাজনৈতিক মহলের মতে আসন্ন ২৬এর বিধানসভার আগে এটাই যেহেতু শেষ ২১এ জুলাই তাই এবারের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ তাই শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক জমায়েত নয়, তৃণমূলের পরিবর্তিত প্রচার কৌশলেরও এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে উঠতে চলেছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement