অনেক সময় সাধারণ মানুষ মনে করেন, বেআইনি বাড়ি ইচ্ছে করে ভাঙছে না কলকাতা পুরসভা। কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশের জেরেই অনেক সময় বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গা যায় না। শুক্রবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন থেকে কি কারণে বাড়ি ভাঙ্গা যাচ্ছে না, তা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট বাড়ির সামনে ফ্লেক্স টাঙিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে আদালতের নির্দেশের কারণে বাড়ি ভাঙ্গা যায়নি, সেটা উল্লেখ থাকবে। কেস নম্বর কত, তা উল্লেখ থাকবে। সেই ফ্লেক্সের আয়তন হবে ২/৪ ফুট। মেয়র আরও বলেন, কেউ যদি ফ্লেক্সটি খুলে ফেলে, তবুও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এই বিষয়ে জানতে পারবে। কলকাতার পুরসভার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ এদিন আরও বলেন, রুফটপ নিয়ে এসওপি তৈরির বিষয়ে প্রথম বৈঠক হয়ে গেছে নবান্নে। দ্বিতীয় বৈঠক হওয়ার পর সরকার সম্মতি দিলে এসওপি কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে দমকল বিভাগের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, সেতুর নীচে জবরদখলের কারণে সেতুর স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। সেতুর লোহার উপর প্রভাব পড়ছে। এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে সেতু। সেতু দুর্বল হয়ে পড়লে যে কোনও সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। সেতুর তলায় যারা বসবাস করছে, তাদের পুরসভার আশ্রয়কেন্দ্রে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একবার সরিয়ে দেওয়ার পর যারা পুরনো জায়গায় ফিরে আসছে, তাদেরকে ফের সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশকে নিতে হবে। কারণ, কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে সবসময় নজরদারি বজায় রাখা সম্ভব নয়। মেয়র আরও বলেন, নিকাশি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এর মধ্যে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন জল সরবরাহ বিভাগে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে।