আহমেদাবাদে যে বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুরে ভেঙে পড়ে, সেই বিমানে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। দুর্ঘটনায় তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘনিষ্ঠদের এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশের ডিজি। যদিও সরকারি ভাবে রূপাণীর মৃত্যুর খবর এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। ঘনিষ্ঠ মহল সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, রূপাণীর এক ছেলে এবং এক মেয়ে। ছেলে আমেরিকায় থাকেন। আর মেয়ে লন্ডনে। কয়েক দিন আগেই সেখানে গিয়েছিলেন রূপাণীর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রূপাণীর যাওয়ার কথা ছিল। স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে লন্ডন থেকে ফেরার কথা ছিল ১ জুলাইয়ে। কিন্তু বিমান টেক অফ করার কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে। বিমানের যাত্রীদের তালিকায় গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ছিল। তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত ভালা জানিয়েছেন, তিনি বিজয়কে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন। ওই বিমানে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। যাত্রীদের বিমান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার বাসেও উঠেছিলেন বিজয় রূপানী। কিন্তু বিমান ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয়। রাজকোট পশ্চিমের বিধায়কও ছিলেন। বর্ষীয়ান নেতাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি।বিজয়ভাই রামনিকলালভাই রূপানি দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই দফায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। রাজকোট পশ্চিমের বিধায়ক ছিলেন। ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রূপানি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই পদে বসেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল।