রিও ডি জেনিরো: উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে ভেনেজুয়েলা হেরে যাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করার সুযোগ পায় ব্রাজিল। এর জন্য প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জিততে হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে জয়ও পেয়েছে সেলেসাওরা। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়টা এনে দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা জয়টি কার্লো আনচেলত্তির অধীনে প্রথম জয়। ইতালিয়ান কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ে লাতিন আমেরিকার বাছাই পর্বের তালিকায় ২৫ পয়েন্ট নিয়ে মহাদেশটির দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। প্রথম দল ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা আজ ১০ জনের দল নিয়ে ১-১ গোলে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করেছে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচটিতে আজ জিততে মরিয়া ছিল ব্রাজিল। তার প্রমাণ পাওয়া যায় করিন্থিয়ানসে রেফারির বাঁশি বাজার পরপরেই সেলেসাওদের একের পর এক আক্রমণে। তবে বেশ কিছু আক্রমণ করলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পাওয়া হচ্ছিল না ব্রাজিলের। প্রথম সুযোগটা পান কার্লো আনচেলত্তির অধীনে প্রথমবার খেলতে নামা রাফিনহা। অষ্টম মিনিটে তার নেওয়া শটটা অবশ্য ঠেকিয়ে দেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক রবার্তো ফার্নান্দেজ। তবে ৪ মিনিট পর সহজ সুযোগটা মিস করেন গোলদাতা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ১২ মিনিটের সময় গোলবারের একদম সামনে পাস দিয়েছিলেন ম্যাথিউস কুনহা। শুধু সঠিক সময়ে পা টা লাগালেই হতো। ভিনিসিয়ুস লাগালেনও কিন্তু তা বাঁ পোস্ট দিয়ে বাইরে চলে যায়। পরে ২৫ ও ২৮ মিনিটে আরও দুটি সুযোগ মিস করেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও রাফিনহা। ২৮ মিনিটের সময়ই মার্তিনেল্লির আরেকটি শট ব্লক করেন প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার। অন্যদিকে ৩০ মিনিটে প্যারাগুয়ের গুস্তাভো গোমেজের হেড ব্লকড হওয়ার আগের মিনিটে হুয়ান জোসে ক্যাচেরেসের একটি আক্রমণও ব্রাজিলের রক্ষণভাগে নসাৎ হয়। এতে সম্ভাবনা জাগে গোলশূন্য ড্রয়ে দুই দলের বিরতিতে যাওয়ার। তবে তা হতে দেননি ভিনিসিয়ুস। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে ব্রাজিলকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন তিনি। কুনহার পাসে যে সুযোগটা মিস করেছিলেন সতীর্থর বাড়ানো ঠিক একই রকম পাসে এবার সেলেসাওদের আনন্দে ভাসিয়েছেন। বিরতির পরেও একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখানো ব্রাজিল। তবে লিড বাড়ানো আর হয়নি। ৫৭ মিনিটে রাফিনহার ক্রসে আলেক্স সান্দ্রোর হেড বাঁধা পায় প্যারাগুয়ের রক্ষণভাগে। ৭৭ মিনিটে রাফিনহার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ফার্নান্দেজ। ফিরতি মিনিটে অ্যাসিস্ট করা কুনহাও একটি শট মারেন বারের ওপর দিয়ে। আবার ৮৩ মিনিটে গেরসনের এক শটও ব্লকড হয়ে যায় প্যারাগুয়ের রক্ষণভাগে। তবে সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি ব্রুনো গুইমারেস। রাফিনহার পাসে ৮৯ মিনিটে বুলেট গতির এক শটও নিয়েছিলেন গুইমারেস। তবে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের শটকে বিশ্বস্ত হস্তে কর্নারের বিনিময়ে প্যারাগুয়ে দ্বিতীয় গোল হজম করা থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক ফার্নান্দেজ। তার আগে ৬০ মিনিটে গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল প্যারাগুয়ে। তবে অ্যান্তোনিও সানাবরিয়ার ডান পায়ের শটটা ঠিকই প্রতিহত করে দিয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার। পরে প্রতিপক্ষ গোল শোধ দিতে না পারলে ১-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।