মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিধানসভায় অসত্য বক্তব্য রেখেছেন, এমন দাবি তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার অধিবেশন ছাড়লেন বিজেপি বিধায়কেরা। এদিন বিধানসভার গেটের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পরিষদীয় দল দাবি করে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অসত্য। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিরোধী দলনেতাকে বক্তৃতা করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু স্পিকার তেমনটা করেননি। তাই তাদের এই প্রতিবাদ বলে জানিয়েছে বিজেপি।
এদিন বিধানসভায় স্পিকারের উদ্দেশে শুভেন্দু চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভুল তথ্য দিয়েছেন, আমি কিছু বলতে চাই।”
স্পিকার অবশ্য অনুমতি না দিয়ে প্রথম অর্ধের বিধানসভা শেষ করে দেন। এরপরই বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করে বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা।
রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভার বাইরে আক্রমণের সুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানিতে ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন তাঁরা।
বিরোধী নেতারা এদিন বিক্ষোভ দেখিয়ে বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, “হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টে ওবিসি শংসাপত্রের মামলা পেন্ডিং থাকা অবস্থায় আগে থেকে নোটিস না দিয়ে বিরোধীদের ২ মিনিট বলার সুযোগ না দিয়ে বিধানসভায় একতরফা বলে চোরের মতো পালিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সরকার মুসলমানের সরকার, মুসলিম লিগের সরকার।”
তিনি আরও দাবি করেন, এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়। ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের এই ভূমিকা এবার আদালতের কাঠগড়ায় বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দু ওবিসিদের অধিকার রক্ষা করবই। আইনি লড়াই হবে।”