পানিহাটির ঘটনা সামনে আসার পর থেকে সংবাদ শিরোনামে মা-ছেলে জুটি। সফট পর্ন শুট করে রমরমা কারবার ফেঁদে বসেছিলেন এলাকায় ‘ফুলটুসি’ নামে পরিচিত শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান, এমনটাই শোনা যাচ্ছে ডোমজুড় এলাকায় কান পাতলে। এবার এই ‘ফুলটুসি’ অর্থাৎ শ্বেতার সঙ্গেই প্রকাশ্যে এল একাধিক প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের ছবি। এই তালিকায় রয়েছেন অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। এঁদের সঙ্গে শ্বেতার ছবি রয়েছে ফেসবুক জুড়ে। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মিছিলেও শ্বেতার উপস্থিতি নজরে এসেছে। শুধু তাই নয়, ফেসবুকে নিজেকে তৃণমূল কর্মী হিসেবেও দাবি করেছেন এই শ্বেতা। তৃণমূলের হয়ে দেওয়াল লিখন করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি ঝাঁ চকচকে লাইফ স্টাইল। নিত্যনতুন ক্লাবিং, নাইট আউট। বিলাসবহুল গাড়িতে ভ্রমণ তদন্তকারীদের নজর কেড়েছে। ফলে তিনি এখন বাস্তবিকই তাঁদের স্ক্যানারে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাঁর ফেসবুক পোস্ট বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। হাওড়ার ডোমজুড় থানার বাঁকড়া দেওয়ান পাড়ায় একটি চার তলা ফ্ল্যাটের একতলায় বসবাস করেন শ্বেতা ও আরিয়ান। তবে এই ঘটনার পরে থেকে ওই ফ্ল্যাটে তালা। অভিযোগ, আরিয়ান এবং শ্বেতা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি এলাকার লোকজনের। কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। সেই ফ্ল্যাটেই রাতে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আনাগোনা ছিল বলে জানান শ্বেতা-আরিয়ানের পড়শিরা। ‘লাস্যময়ী’ মা ও ছেলের ভয়ে পাড়ার লোকজন ত্রস্ত থাকতেন বলে জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। পড়শিরাও জানান,’এই মহিলা সাংঘাতিক’! ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে হাও়ড়ার ডোমজুড়ে মা-ছেলের সফ্ট পর্ন চক্রের কুকীর্তি চালাতো এই শ্বেতা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। পানিহাটির মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে শ্বেতা এবং আরিয়ান এখন পলাতক। তদন্তে নেমে এখন প্রশ্ন একটাই, বিলাসবহুল এই জীবনযাত্রা শ্বেতা চালিয়ে যেতেন কীভাবে? সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠেছে, সফট পর্ন সাম্রাজ্যের জোরেই এই প্রভাব-প্রতিপত্তি? এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের হাওড়ার চেয়ারম্যান অরূপ রায় অবশ্য জানান, ‘কারও সঙ্গে ছবি থাকতেই পারে, তাতে কিছু যায় আসে না। এসব মেয়েরা প্রভাব খাটানোর জন্য এসব করতে পারে। দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। যদি দলে থাকে তাহলে দল থেকে তাড়াব।’ পাশাপাশি, প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এক সময় ডোমজুড় কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলাম, নানা অনুষ্ঠানে যেতাম। কে কখন ছবি তুলেছে বলতে পারব না।’