মাসকট: ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছিল ওমান। গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয় তারা। গ্রুপ সি-র শেষে শেষ করার পরেও আইসিসির কাছ থেকে পুরস্কারমূল্য বাবদ প্রায় ২ কোটি টাকা পেয়েছিল ওমান ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অনুযায়ী সেই টাকা দলের সকল ক্রিকেটারের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া উচিত। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর পরেও ওমানের ক্রিকেটারেরা এক পয়সা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। প্রতিবাদ করায় তাঁদের দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা (আইসিসি)-র নিয়ম, তাদের আয়োজিত যে কোনও প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে ক্রিকেটারদের মধ্যে পুরস্কারমূল্য ভাগ করে দিতে হবে। আইসিসি জানিয়েছে, ওমানকে পুরস্কারমূল্য দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ক্রিকেটারেরা পাননি বলে অভিযোগ। ‘ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে, টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বেশ কিছু দেশ তাদের ক্রিকেটারদের প্রাপ্য পুরো টাকা দেয়নি। তবে ওমান সকলের থেকে এগিয়ে। এক পয়সাও দেয়নি তারা। যে সব ক্রিকেটার এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, তাঁদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ওমানের হয়ে ৩৭ এক দিন ও ৪৭ টি-২০ ম্যাচ খেলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ প্রজাপতি এখন আমেরিকায় রয়েছেন। সেখানে ক্রিকেটে কিছু করার চেষ্টা করছেন তিনি। কাশ্যপ বলেন, “আমাদের পুরো জীবনটাই বদলে গিয়েছে। দল থেকে বাদ পড়েছি। চুক্তি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। দেশ ছাড়তে আমাদের বাধ্য করা হয়েছে। আইসিসি কেন আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না? কেন আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা পাব না?” কাশ্যপ আরও জানিয়েছেন, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেও এক পয়সা পাননি ওমানের ক্রিকেটারেরা। তবে তখন তাঁরা জানতেনই না যে পুরস্কারমূল্য ক্রিকেটারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। একই কথা জানিয়েছেন পেসার ফৈয়াজ় বাট। ওমানের হয়ে ৩০ এক দিন ও ৪৭ টি-২০ খেলা ফৈয়াজ বলেন, “আমার কেরিয়ারের বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ওমান ছাড়তে হয়েছে। আমার ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এখন হাতে কোনও কাজ নেই। কী করব কিছু বুঝতে পারছি না।”