সবুজ ভবিষ্যৎ শক্তিশালী হচ্ছে: মোদী

IMG-20250606-WA0281

নয়াদিল্লি: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জির দূরদর্শী নেতৃত্বে ভারত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উঁচু লক্ষ্য স্থির করেছে তাই নয়, আমরা সংকল্প, উদ্ভাবন এবং অতুলনীয় মাত্রায় তা রূপায়ণও করেছি”বর্তমানে ভারত বিশ্বে স্বচ্ছ শক্তির ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানে অন্যতম দেশ হয়ে উঠেছে, সৌরশক্তিতে তৃতীয়, বায়ুশক্তিতে চতুর্থ এবং মোট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষমতায় চতুর্থ। ২৩২ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান সেইসঙ্গে আরও ১৭৬ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র নির্মীয়মান। আমরা শুধু আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটাচ্ছি তাই নয়, শক্তিক্ষেত্রে রূপান্তরে আন্তর্জাতিক আলোচনার ধারা ঠিক করছি সক্রিয়ভাবে। এই অগ্রগতি কাকতালীয় নয়, এটি গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দৃঢ় সংস্কার, সময় মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং একটি স্পষ্ট দীর্ঘমেয়াদী দূরদর্শিতার ফলাফল ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি শক্তিশালী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিমণ্ডল গড়ার স্পষ্ট ভাবনা ছিল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি বৃহৎ মাত্রায় সৌর প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেছিলেন, সারা বিশ্বে স্বচ্ছ শক্তি অগ্রাধিকার পাওয়ার অনেক আগেই। ২০১৪য় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি তাঁর ভাবনাকে জাতীয় স্তরে তুলে আনলেন। ফলে আজ ভারত সৌর, বায়ু এবং স্বচ্ছ শক্তি উদ্ভাবনে বিশ্ব নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।শুধু গত বছরেই আমরা জাতীয় গ্রিডে ২৯ গিগাওয়াট রেকর্ড পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি যুক্ত করেছি। ২০১৪-য় সৌরশক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ২.৬৩ গিগাওয়াট, তা ২০২৫-এ পৌঁছেছে ১০৮ গিগাওয়াটের বেশি, বিপুল ৪১ গুণ বৃদ্ধি। বায়ু থেকে উৎপন্ন শক্তিও ৫১ গিগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রকল্পগুলি ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশে। এগুলিকে একসূত্রে বাঁধা হচ্ছে একীকৃত পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে। ওয়ান নেশন ওয়ান গ্রিড-এর লক্ষ্য পূরিত হচ্ছে যেখানে প্রত্যেক ভারতীয়, সে যে অঞ্চলেরই হোক না কেন, আস্থাভাজন শক্তিকে সে পাচ্ছে।তবে এই রূপান্তরের মাত্রাকে প্রশংসা করার আগে আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা কোথায় শুরু করেছিলাম। ২০১৪-য় ভারতের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র ছিল গভীর সংকটে। বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল দৈনন্দিন বিষয়। ২০১২-য় ডাবল গ্রিড বিপর্যয় প্রথমে উত্তরাঞ্চলে আঘাত করে। ৩৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা যায়, যার ফলে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের গ্রিডগুলি বসে যায়। ৪৮০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির এই ঘটনা এখনও আমাদের মনে তাজা আছে। পরিবহণ পরিকাঠামো ছিল অধিক ভারে জর্জর। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল কম। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে মনে করা হত ব্যয়বহুল এবং আস্থাযোগ্য নয়। সারা বিশ্ব ভারতকে স্বচ্ছ শক্তির ক্ষেত্রে খুব একটা গুরুত্ব দিত না। দেশের মধ্যে সাধারণের প্রত্যাশাও খুব একটা উঁচু ছিল না। সিদ্ধান্তহীনতার ফলে ভারতকে দেগে দেওয়া হয়েছিল ‘ভঙ্গুর পাঁচ’ অর্থনীতির দেশ হিসেবে।সেই দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বিদ্যুতে ঘাটতি থেকে ভারত পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আত্মনির্ভরতায়। পিছনে পড়ে থাকা থেকে এখন আমরা এগিয়ে থেকে নজির সৃষ্টি করছি।আমি এখানে মোদী সরকারের অধীনে গত ১১ বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে ১১টি রূপান্তরকারী সংস্কারের কথা তুলে ধরবো। এর প্রতিটি আত্মনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি এবং সুস্থায়িত্বের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। প্রথম, ধরাবাঁধা স্বচ্ছ বাজারচালিত বিডিং প্রক্রিয়া একটি আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বিডিং এবং শুল্কের সমতাকরণে সৌর বিদ্যুতে শুল্ক ২০১০-এর প্রতি ইউনিটে ১০.৯৫ থেকে চমকপ্রদভাবে ২০২১-এ প্রতি ইউনিটে ১ টাকা ৯৯ পয়সায় নেমে এসেছে। ফলে সৌরশক্তির দামে ভারত বিশ্বে সামনের সারির দেশ হয়ে উঠেছে। এই সংস্কারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। জৈব জ্বালানির সঙ্গে দামেও সাযুজ্য ঘটেছে। দ্বিতীয়, আরও একটি প্রধান বিষয় হল ইন্টারস্টেট ট্রান্সমিশন সিস্টেম (আইএসটিএস) শুল্ক মকুব। এই শুল্ক মকুব হওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারীদের অন্যতম বড় বাধা সরিয়ে দিয়েছে সরকার। সামুদ্রিক হাওয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ২০৩২ পর্যন্ত এবং গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে ২০৩০ পর্যন্ত এই কর্মসূচি প্রসারিত হওয়ায় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিতরণে ভৌগোলিক বাধা অতিক্রম করা গেছে এবং বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া গেছে দেশজুড়ে।তৃতীয়, আমদানি নির্ভরতা কমাতে এবং কর্মসংস্থান তৈরি করতে সরকার সৌর শক্তি উৎপাদকদের জন্য ২৪০০০ কোটি টাকার প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) কর্মসূচি চালু করেছে। এতে দেশে উৎপাদন ক্ষেত্রে বিশাল অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৪-য় ২.৩ গিগাওয়াট থেকে ২০২৫-এর মধ্যে মডিউলে ৮৮ গিগাওয়াট পর্যন্ত এবং সেল ক্ষমতার ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ২৫ গিগাওয়াট হয়েছে। ভারত শুধুমাত্র এখন সৌরশক্তি কাজে লাগাচ্ছে তাই নয়, সৌরশক্তি নির্মাণের উপকরণ তৈরিও করছে। এতে সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী হচ্ছে এবং শক্তি নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চতুর্থ, আত্মনির্ভরতার প্রসারে এবং ঘরোয়া উৎপাদন বাড়াতে সরকার অ্যাপ্রুভড লিস্ট অফ মডেলস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স (এএলএমএম), অ্যাপ্রুভড লিস্ট অফ কম্পোনেন্টস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স (এএলসিএম)-এর পাশাপাশি ডোমেস্টিক কনটেন্ট রিকয়্যারমেন্টস (ডিসিআর) রূপায়ণ করেছে। এতে নিশ্চিত হয়েছে গুণমান, সরবরাহ শৃঙ্খলের সংহতি এবং কমেছে আমদানিকৃত উপাদানের ওপর নির্ভরতা। এই পদক্ষেপ ভারতীয় উৎপাদকদের জন্য একটি সমতা যুক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, প্রশস্ত হয়েছে দৃঢ় এবং প্রতিযোগিতামুখী সৌর পরিমণ্ডলের পথ।পঞ্চম, প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা অনুযায়ী ‘পিএম-সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা’ একটি রূপান্তরকারী উদ্যোগ হয়ে উঠেছে। এর লক্ষ্য ১ কোটি পরিবারের ছাদে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্র বসানো যাতে ৩০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এরই মধ্যে ১৩.৭৫ লক্ষ পরিবারে এটি কার্যকর হয়েছে। ফলে তৃণমূল স্তরে দূষণহীন বিদ্যুৎ পাওয়ার ক্ষেত্রে রূপান্তর ঘটেছে। একইভাবে পিএম-কুসুম কর্মসূচি কৃষিক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। ১১ লক্ষের বেশি পাম্প চলছে সৌর বিদ্যুতে। তাই ভারতের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ নির্ভর ক্ষেত্রকে জলবায়ু মিত্র বানিয়ে দিয়েছে।সপ্তম, ভারত আর স্বচ্ছশক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বকে অনুসরণ করছে না, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২০১৪-য় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল নামমাত্র, সে জায়গায় ২০২০-র এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ক্ষেত্রে ভারত ১৯.৯৮ বিলিয়ন প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ টেনে এনেছে। বর্তমানে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার অন্যতম শীর্ষ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এটি। সারা বিশ্বে মর্যাদার প্রশ্নে এবং অর্থনীতির সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এর উত্থান যার প্রতিফলন। এই যাত্রায় অন্য একটি প্রধান অনুঘটক হল ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন। যার জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ২০০০০ কোটি টাকা। যার লক্ষ্য স্বচ্ছ জ্বালানির জন্য ভারতকে গ্লোবাল হাবে পরিণত করা।
অষ্টম, রূপান্তরের মেরুদণ্ড পরিবহণ পরিকাঠামো। গ্রিন এনার্জি করিডরে ভারতের বিনিয়োগ এবং ২০৩০-এর বিদ্যুৎ পরিবহণ পথচিত্র নিশ্চিত করেছে যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্প গ্রিডকে কার্যকরীভাবে, বিশ্বাসযোগ্যভাবে যুক্ত করতে পারে। এতে ঝুঁকি কমেছে, বেড়েছে গ্রিডের স্থায়িত্বের মেয়াদ।নবম, সরকার ভারতের উপকূল অঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে। সামুদ্রিক হাওয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ-এর প্রথম স্তরে ২০৩০-এর মধ্যে ৩৭ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা। এর পিছনে আছে অতিরিক্ত তহবিলের যোগান এবং প্রকৃত স্থান নির্বাচন। গুজরাট এবং তামিলনাড়ুর পাইলট প্রকল্প ইতিমধ্যেই ভারতে পরবর্তী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রের শিলান্যাস করে দিয়েছে।দশম, বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যাগুলি মাথায় রেখে ভারত হাইব্রিড এবং রাউন্ড দ্য ক্লক পাওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। বায়ু এবং সৌরশক্তির হাইব্রিড এবং ফার্ম অ্যান্ড ডিসপ্যাচেবল রিনিউএবল এনার্জি (এফডিআরই)-র প্রসার ঘটিয়ে ভারত ২৪ ঘণ্টাই যাতে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছে। পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে ৬৫ গিগাওয়াটের বেশি। এটি গ্রিডের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং জ্বালানি নির্ভর প্রাথমিক স্তরের বিদ্যুতের পরিবর্ত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। একাদশ, আদিবাসী এবং দুর্গম এলাকায় আমরা পৌঁছচ্ছি সেইসব বাড়িতে যেখানে আগে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। বিশেষভাবে অবহেলিত জনজাতি গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সৌর কর্মসূচির মাধ্যমে এবং পিএম জনমন মিশন এবং সিপিএসইউ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের অধীনে কয়েক হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এটা শুধুমাত্র বিদ্যুতের বিষয় নয়, ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের চাবিকাঠি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং নিজস্ব সংকল্প-ভারত দেশেই এগোচ্ছে তা শুধু নয়, আমরা বিশ্বেও নেতৃত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর সূচনা করা আন্তর্জাতিক সৌর জোট ১০০-র বেশি দেশকে একজোট করেছে। ‘এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড’-এর ভাবনা বিশ্বকে দেখাচ্ছে কীভাবে সৌরশক্তি দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃসরকারি সংস্থা যার সদর দপ্তর ভারতে। সারা বিশ্ব ভারতের ওপর লক্ষ্য রাখছে এবং বিশ্ব শিখছে ভারতের থেকে।আরই-ইনভেস্ট ২০২৪-য় সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা ভারতের স্বচ্ছ শক্তি ভবিষ্যতের লক্ষ্যে ২০৩০-এর মধ্যে ৩২.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির জন্য অর্থের ব্যবস্থা করতে একটি জাতীয় কর্মশালা আয়োজিত হয় সব প্রধান ব্যাঙ্কগুলির শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে যাতে এই ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য মজবুত হয় এবং বিনিয়োগ বাড়ে। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলি রূপায়ণের কাজে তদারকি করতে এবং রাজ্যগুলির মধ্যে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে কাজের রূপায়ণ এবং উদ্ভাবনের জন্য।সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২৪ মে ২০২৫-এ নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ শক্তি ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ তৈরি করা নিয়ে সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সূর্যমিত্র, বায়ুমিত্র এবং জল উর্জামিত্রের মতো উদ্যোগগুলি তুলে ধরা হয় ভবিষ্যতের জন্য সবুজ কর্মীদলকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি হিসেবে। আগামীদিনের পথ-প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০৩০-এর মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট অজৈব জ্বালানী উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্য রেখেছেন। এ পর্যন্ত আমরা ২২৮ গিগাওয়াটে আছি। আরও ১৭৬ গিগাওয়াট নির্মীয়মান এবং ৭২ গিগাওয়াট বিডিং স্তরে আছে। আমরা শুধুমাত্র ঠিক রাস্তায় যাচ্ছি তা নয়, আমরা প্রথম দিকে আছি। এতে যে শুধু আমাদের বাড়তি বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা মিটবে তাই নয়, আমাদের শক্তির চাহিদাকেও সাহায্য করবে যা আশা করা হচ্ছে ২০৩২-এর মধ্যে দ্বিগুণ হবে। একই সময় আমরা কাজ করছি ২০৪৭-এর মধ্যে ১৮০০ গিগাওয়াট অজৈব জ্বালানী উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যপূরণে। সব মিলিয়ে এই মাইলফলকগুলি স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির শক্তিতে বলীয়ান বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে আমাদের দায়বদ্ধতার মেরুদণ্ড। নতুন ভারতের ওপর সূর্য ঝলমল করছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। লেখক – কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement