মুম্বাই: আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলতে পারবেন সূর্যকুমার যাদব, অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সূর্যর ফিটনেস নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কোচ জানিয়ে দিয়েছেন গুরুতর কোনও সমস্যা নেই সূর্যর। এলিমিনেটরে গুজরাটকে ২০ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে মুম্বই। রবিবার আমেদাবাদে খেলা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে খেলতে পারবেন সূর্যকুমার? দেখা দিয়েছে সংশয়।খেলা শেষে জয়বর্ধনেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘টানা খেলার ফলে ব্যথা বা টান লাগার মতো সমস্যাগুলি তৈরি হয়।’ তবে জয়বর্ধনে জানিয়েছেন, কোয়ালিফায়ার ২ তে খেলতে সমস্যা হবে না সূর্যকুমারের।এদিকে শুক্রবারের ম্যাচে ৩৩ রান করেন সূর্য। চলতি সিজনে টি২০ ক্রিকেটে ১৫ বার ২৫ বা তার বেশি রান করলেন সূর্য। কোনও একটি টি২০ টুর্নামেন্টে এই কৃতিত্ব আর কোনও ব্যাটারের নেই।পাশাপাশি চলতি আইপিএলে ৬৭৩ রান করে ফেলেছেন সূর্য। সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তিনি আছেন দুইয়ে। আরও অন্তত একটি ম্যাচ পাবেন তিনি। ফলে হয়ে যেতে পারেন অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক। এখন যা পরিস্থিতি তাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও এগিয়ে শুরু করবে মুম্বই। টগবগ করে ফুটছে তারা। রোহিত ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। এদিন এলিমিনেটরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিল গুজরাট টাইটান্স। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ ২০ রানে জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হবে মুম্বই। শুক্র সন্ধের মুল্লানপুর দেখে ‘ভিন্টেজ’ রোহিত শো। শেষ কয়েকটা ম্যাচে ব্যর্থ হলেও আসল সময় জ্বলে উঠলেন। ৫০ বলে ৮১ রান করেন হিটম্যান।
এদিন জোড়া রেকর্ড করেন রোহিত। আইপিএলে ৭০০০ রানের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন। কোটিপতি লিগে এই নজির একমাত্র বিরাট কোহলির আছে। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এই রেকর্ড করেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক। পাশাপাশি আরও একটি নজির গড়েন।আইপিএলে ছয়ের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে যায়। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২৮ রান তোলে মুম্বই ইন্ডিয়ান। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রানে শেষ করে গুজরাট টাইটান্স। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। শুরুটা দারুণ করে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। চলতি আইপিএলে মুম্বইয়ের সবচেয়ে ভাল পাওয়ার প্লে। প্রথম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন রোহিত শর্মা এবং জনি বেয়ারস্টো। ২২ বলে ৪৭ রান করে আউট হন ইংল্যান্ডের তারকা। মাত্র তিন রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন। অন্যদিকে দু’বার জীবন ফিরে পান রোহিত। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে ক্যাচ ফেলেন কোয়েৎজে। ৩ রানে ব্যাট করছিলেন রোহিত। মহম্মদ সিরাজের বলে উইকেটের পেছনে আবার ক্যাচ দেন। কিন্তু তালুবন্দি করতে পারেননি কুশল মেন্ডিস। তখন রোহিতের রান ছিল ১২। ৩ ওভারের মধ্যে দু’বার প্রাণ ফিরে পান রোহিত। এরপর আর সুযোগ দেননি। ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন। ৩.৫ ওভারে ৫০ রানে পৌঁছে যায় মুম্বই। ষষ্ঠ ওভারে সাই কিশোরের বলে প্রথম ছয় রোহিতের। পাওয়ার প্লের শেষে বিনা উইকেট হারিয়ে মুম্বইয়ের রান ছিল ৭৯। মুম্বইয়ের সেরা পাওয়ার প্লে। ৯ ওভারে একশোয় পৌঁছে যায় মুম্বই। গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন সূর্যকুমার যাদব (৩৩), তিলক বর্মা (২৫)। শেষ ওভারে হার্দিকের দাপট। ২২ রান যোগ করেন। গুজরাটের জঘন্য ফিল্ডিংয়ের জন্য রানের পাহাড় গড়ার সুযোগ পায় মুম্বই। মোট চারটে ক্যাচ ফেলে গিলের দল। বিশেষ করে রোহিতের দুটো ক্যাচ মিস ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় গুজরাট। প্রথম ওভারেই মাত্র ১ রানে ফেরেন শুভমন গিল। তখনই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে যায়। পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়কের অবদান না থাকলে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। তবে তাসত্ত্বেও দলকে লড়াইয়ে রাখেন সাই সুদর্শন। তাঁকে সঙ্গত দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৪৯ বলে ৮০ রান করে আউট হন সাই। তাঁর আউটই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ৪৮ করেন ওয়াশিংটন। শেষদিকে শারফেন রুদারফোর্ড (২৪) কিছুটা চেষ্টা করলেও একার পক্ষে দলকে জেতানো সম্ভব ছিল না। একটা সময় পর্যন্ত লিগ শীর্ষে ছিল গুজরাট। শেষ দুটো ম্যাচ জিতলে প্রথম দুইয়ে শেষ করতেন গিলরা। সেই জায়গা থেকে প্লে অফ থেকে বিদায় নিল গুজরাট।