কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য মোতায়েন হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তাতে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, সূত্রে এমনটাই খবর।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের উপনির্বাচন অত্য়ন্ত গুরুত্বরপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বঙ্গের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে। কারণ, আরজি কর থেকে শুরু করে নানা দুর্নীতি, বিশেষত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে আরও নানা ঘটনায় শাসকদলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আদৌ বজায় রয়েছে কি না তার অনেকটাই আঁচ পাওয়া যাবে এই উপনির্বাচনে। একইসঙ্গে বাম এবং কংগ্রেস যারা সংখ্যার বিচারে বঙ্গ রাজনীতিতে থেকে প্রায় আবার ধুয়ে মুছে যেতে বসেছে তারাও তাদের গ্রহণযোগ্য়তা সম্পর্কে একটা আঁচ পেতে পারে। উল্টোদিকে শাসক দলের তরফে তারা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি পরখ করে নিতে চলেছে তৃণমূল শিবির। এই আবহে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নদিয়ার কালীগঞ্জ কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্য আপাতত ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরে এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। কমিশন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই ঢুকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের প্রয়াণে কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। বাংলার কালীগঞ্জ বিধানসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেসের হাতেই ছিল। উপনির্বাচনেও আবার সেই আসন তৃণমূল কংগ্রেসের হাতেই থাকবে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের। এই নির্বাচনে তাই ভোটসংখ্যা বাড়ানোই লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের। এই উপনির্বাচনে যত বেশি সম্ভব ভোট নিজেদের বাক্সে নিয়ে আসা সেদিকেই টার্গেট শাসকদলের।