গোটা মরশুমে সেভাবে সফল হতে পারেনি চেলসি। যদিও উয়েফা কনফারেন্স লিগ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ‘দ্য ব্লুজ’। স্প্যানিশ দল রিয়াল বেতিসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সমস্ত শিরোপা জিতে নিয়েছে চেলসি। যদিও ম্যাচ শুরুর ৯ মিনিটের মধ্যেই রিয়াল বেতিসকে এগিয়ে দেন আবদে এজ্জালজুলি। প্রথমার্ধজুড়ে তাদেরই দাপট ছিল বেশি।দ্বিতীয়ার্ধে চলসি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও ৬৪ মিনিট পর্যন্ত সমতায় ফিরতে পারেনি। গ্যালারিতে যখন চেলসি সমর্থকদের মনে হাঁসফাঁস, তখনই এনজো ফার্নান্ডেজের গোলে সমতায় ফেরে তারা। ৭০ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। এরপর আর আটকে রাখা যায়নি ইংলিশ ক্লাবকে। ৮৩ মিনিটে জাদন সানচো চেলসির পক্ষে স্কোরলাইন ৩-১ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে (৯০+১) ময়েস কেইসাডো বেতিসের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন।দ্বিতীয়ার্ধে অতি রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে ভুগতে হয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবকে। চেলসির ফুটবলারদের যেন বারবার অ্যালাও করছিলেন বিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। যার সুযোগ পুরোদস্তুর কাজে লাগিয়েছে চেলসি। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের ক্লাব প্রতিযোগিতার ফাইনালে দীর্ঘদিন পর জিতল কোনও ইংলিশ ক্লাব। এর আগে ২৩ বার স্প্যানিশ কোনও ক্লাবই এই শিরোপা জিতেছে।চেলসি প্রথমবার উইনারর্স কাপের শিরোপা জেতে ১৯৬৫ সালে। এর ৩৩ বছর পর, ১৯৯৮ সালে চেলসি চ্যাপিয়ন হয় উয়েফা সুপার কাপ। ২০১২ সালে প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তোলে এই ইংলিশ ক্লাব। ২০১৩ এবং ২০১৯ সালে ইউরোপের দ্বিতীয় বড় ট্রফি ইউরোপা লিগ জিতে নেয় তারা। আর এবার চেলসি চ্যাম্পিয়ন হল ইউরোপের তৃতীয় সারির ক্লাব প্রতিযোগিতা কনফারেন্স লিগ। এভাবেই ইউরোপের সব ট্রফিই ঝুলিতে পুরল ‘দ্য ব্লুজ।”