স্বাস্থ্য কেন্দ্রর চারপাশে আগাছায় পরিপূর্ণ, বাড়ছে সাপের উপদ্রব্য বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা

IMG-20250527-WA0212

কুলতলী: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পিছনের সারির দিকে পড়া ব্লক গুলির মধ্যে অন্যতম কুলতলী। আর এই কুলতলির ভুবনেশ্বরী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বাম আমলে নির্মিত ১১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলে ও এই মুহূর্তে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালের চারিদিকে গাছ গাছালি লতাপাতায় ভরা। যে কোন সময় কীটপতঙ্গের আক্রমণও হতে পারে। তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছে রোগী ও তার পরিজন। বিশেষ করে সুন্দরবন লাগোয়া কিশোরী মোহনপুর -মৈপিঠ বৈকুন্ঠপুর ও গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী দুইটি অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষজন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের উপর তাদের নির্ভর করতে হয়। আর এই মুহূর্তে তা বিপদজনক অবস্থায়। এখানকার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন যখন স্থানীয় চিকিৎসকের চেম্বারে আসে তখন ওই সমস্ত চিকিৎসক তাদেরকে মুরগি বানানো উপক্রম করে। মাছ কাঁকড়া কিংবা জঙ্গলের মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে কোন মৎস্যজীবী বাঘের কবলে পড়লে তাদের তো আর রক্ষে নেই। দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার এর অধিক পথ পার করার পর প্রাথমিক চিকিৎসা টুকু নিতে হয়ে ,আসতে হয় তাদের জয়নগর কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালে। এই দীর্ঘ সময় লাগার কারণে অধিক রক্তক্ষরণ হয় ,অনেক সময় ওই সমস্ত রোগী পথে মারা ও যায়। স্থানীয় সমাজকর্মী প্রবীর মিশ্রের কথায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয় এই হাসপাতালটি নির্মিত হয়-পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত মানের। রক্ষণাবেক্ষণার কারণে আজ এই হাসপাতালটি অকেজো অবস্থায়। নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে স্বাস্থ্য-আর এই মুহূর্তে তা বেহাল। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রধান জয়দেব প্রধান ওরফে বাবলু তিনি জানান গত শীতে পঞ্চায়েতের সামান্য কিছু ফান্ডে আমরা কিছুটা পরিষ্কারের কাজ করেছি। জয়নগর কুলতলী গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ তিনি যথেষ্ট উদ্যোগী না হওয়ায় হাসপাতাল চত্বরের পরিষ্কারের কাজ থমকে যায়। বিপ্লব কৌশিক তিয়াড়ী সহ এলাকাবাসীদের দাবি এখান থেকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যপরিসেবা মিলুক।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement