আরজিকর আন্দোলনের তিন চিকিৎসকের বদলি ঘিরে বিতর্ক

IMG-20250527-WA0271

আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত। সেই ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি শহরবাসীর এক বিরাট অংশ। এক মহিলা চিকিসকের এমন নির্মম পরিণতি ভোলার কথাও নয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আরজি করের নানা অনৈতিক ঘটনাও সামনে আসতে থাকে। যার সঙ্গে কোথাও পরোক্ষে জড়িয়ে যায় আরও বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের নাম। এবার সেই ঘটনায় যে প্রতিবাদ উঠেছিল চিকিৎসক মহল থেকে তারই অগ্রভাগে থাকা তিন চিকিৎসক এবার আনলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই বদল করা হচ্ছে তাঁদের পোস্টিং! এ ব্যাপারে সবার আগে কোপ পড়ে চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের ওপর। এবার সেই একই অভিযোগ তুললেন অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়া। কাউন্সেলিং হওয়ার পরও তাঁদের এবং শুধুমাত্র তাঁদেরই পোস্টিং বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে আরও একটা তথ্য দিয়ে রাখা প্রয়োজন। তা হল, অনিকেত ও আশফাকুল্লাহ এতদিন পিজিটি ছিলেন। এবার সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন তাঁরা। সেই কারণে পোস্টিং দেওয়ার জন্য কাউন্সেলিং হয় তাঁদের। সেই কাউন্সেলিং অনুযায়ী আশফাকুল্লাহর পোস্টিং ছিল আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ। আর অনিকেতের পোস্টিং ছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু মেরিট লিস্ট প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ ও আশফাকুল্লাহকে পুরুলিয়ায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, ওই লিস্টে ৮৭১ জনের নাম রয়েছে। শুধুমাত্র ওই দুজনের সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, লিস্ট পৃথক হলেও দেবাশিসের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। কাউন্সেলিং-এ তাঁকে হাওড়ায় পোস্টিং দেওয়ার কথা বলা হলেও পরে মেরিট লিস্টে দেখা যায় তাঁর পোস্টিং মালদহের গাজোলে। সেই হাসপাতালে কোনও শূন্যপদ ছিল না। তা সত্ত্বেও কীভাবে দেবাশিসকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন। মঙ্গলবার এই অভিযোগ নিয়ে জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখানো হয় স্বাস্থ্য ভবনে। অনিকেত মাহাতোদের দাবি, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম তাঁদের বলেন যে কাউন্সেলিং-এ যাই হোক না কেন, সরকার যেখানে খুশি পোস্টিং দিতে পারে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement