বিশেষ অধিবেশন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি তৃণমূল সাংসদদের

IMG-20250527-WA0266

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন চায় তৃণমূল। এই মর্মেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদরা।পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পরেই গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আবার অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারী জঙ্গিদের এখনও পাকড়াও করা যায়নি। এই সব বিষয় নিয়েই কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর সেই কারণেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলছে তৃণমূল। মঙ্গলবার দিল্লিতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে তৃণমূল সংসদীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভা প্রায় সব জনপ্রতিনিধি। সেখানে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই চিঠির খসড়া তৈরি হয়। সাংসদরা তাতে সই করেন এবং চিঠি পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। তৃণমূল সাংসদদের আবেদন, বিদেশ সফর সেরে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ফেরার পরে ওই অধিবেশনের আয়োজন করা হোক। তাতে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানা এবং তার পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা হোক। এমনটাই চাইছে তৃণমূলের সংসদীয় দল।বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে উপমহাদেশে ঘুরছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল। একটি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা। সেই দলে তৃণমূলের তরফে রয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জাপান ঘুরে দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেছে দলটি। এর পর তারা যাবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর। তৃণমূলের সংসদীয় দলের দাবি, প্রতিনিধিদল দেশে ফেরার পর বিশেষ অধিবেশন হোক সংসদের দুই কক্ষে। মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘যাঁরা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় শহিদ হয়েছেন এবং যে জওয়ানেরা দেশের মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে তৃণমূলের সংসদীয় দলের তরফে বৈঠক হয়েছে। আমরা চাই, এ নিয়ে রাজ্যসভা এবং লোকসভাতেও বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন হোক। এ নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে লিখিত আবেদন করেছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওই অধিবেশনে যেন সুযোগ দেওয়া হয়, ঠিক কী হয়েছিল, কী ভাবে আক্রমণ প্রতিহত করলেন জওয়ানেরা, সে সব নিয়ে আলোচনার।’’ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ জানান, তাঁরা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৈঠক করেছেন। তৃণমূলনেত্রী আগেই জানিয়েছেন, জঙ্গিহানার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আছে। বিদেশে যে প্রতিনিধি দল গিয়েছে তাতেও তৃণমূল যোগ দিয়েছে। সাগরিকা বলেন, ‘‘এখন আমরা একটি বিশেষ অধিবেশন চাইছি। দেশবাসীর জানা উচিত, কী ভাবে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিদের প্রতিহত করেছি আমরা।’’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement