তৃণমূল নেত্রী লাভলী খাতুনকে বাংলাদেশে পাঠানোর দাবি বিজেপির

IMG-20250525-WA0174

মালদা: বাংলাদেশী নাগরিক তৃণমূল নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি তুলল বিজেপি। কে এই নেত্রী? ইতিমধ্যেই রাজ্যে তোলপার ফেলে দেওয়া সেই নেত্রীর নাম লাভলী খাতুন। যিনি তৃণমূল প্রধান ছিলেন কিছু দিন আগেও। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল পরিচালিত রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। নিজের নাম ভাঁড়িয়ে, নিজের এমনকি নিজের পিতৃ পরিচয় বেমালুম পালটে ফেলে একজন ভুয়ো বাবা সাজিয়ে মালদায় জাল ডকুমেন্টস দিয়ে ভোটার কার্ড থেকে শুরু করে ওবিসি সার্টিফিকেট পর্যন্ত তৈরি করে ফেলেন। ইতিমধ্যেই তাঁর সেই সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। প্রশাসন তাঁকে প্রধান পদ থেকেও অপসারিত করেছে। আর এবার বিজেপির দাবি, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ওই নেত্রীকে বাংলাদেশে পুস ব্যাক করাতে হবে। আর এই নিয়ে নতুন করে মালদা জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। যেহেতু স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও অনুপ্রবেশকারী ও জঙ্গিদের নিয়ে সতর্ক করেছেন।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী ভুয়ো ভোটার নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। সেভেন সিস্টার এবং অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গও তার কথাতে উঠে এসেছে। কিন্তু তার সেই বক্তব্যের পর বাংলাদেশী নাগরিকত্বের অভিযোগ ওঠা হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অপসারিত হওয়া তৃণমূলের প্রধান লাভলী খাতুনকে নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন? বিজেপির অভিযোগ লাভলী ওবিসি সার্টিফিকেট জাল করে প্রধান হওয়ার পর প্রধান পদ থেকে অপসারিত হলেও কেন তার সদস্যপদ খারিজ হচ্ছে না? কেনই বা তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। জাল নথিপত্র লাভলি কি ভাবে পেয়ে ছিল। কারা এই জাল সার্টিফিকেট করার পেছনে যুক্ত ছিল। তবে কি প্রশাসনের মদত ছিল? সমস্ত বিষয় সামনে আনার দাবি তুলেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যে অভিযোগ সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। যদিও তৃণমূলের সাফাই অভিযুক্ত প্রধান লাভলী খাতুন কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে পরবর্তীতে তৃণমূলে এসে ছিল।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement