এক মহিলার গোপন ছবি ভাইরাল করার অভিযোগে গ্রেফতার এক ফটোগ্রাফার। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে হালতু এলাকা থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৄতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে৷ এবার তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷
সূত্রে খবর, পেশায় ফটোগ্রাফার অনলাইন আলাপ হয় এক তরুণীর। কয়েকদিনের কথাবার্তার পরই পেশায় ফটোগ্রাফার অভিযুক্ত পার্থ দাসের সঙ্গে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় থেকে আরও গাঢ় হতে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই ওই ফটোগ্রাফারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুণী। ঘটনা সোনেই থেকে থাকেনি, দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। পার্থ দাসের তরফ থেকে ওই তরুণীকে দেওয়া হয় বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতিও। আর এই প্রতিশ্রুতির ওপর দীর্ঘদিন সহবাস করেন ওই যুবক। এরপর গোপন মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করার হুমকিও দেন ওই তরুণীকে। এরপরইতরুণীর একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে পার্থকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হালতুর বাসিন্দা পার্থ দাস ও নরেন্দ্রপুরের তরুণী দুজনেই বিবাহিত। তবে বছরখনেক আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তরুণীর। দুজনের পরিচয় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় দেখাও করেন তাঁরা। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্ক শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। তবে রাতে ওই বাড়িতে থাকতেন না যুবক। অভিযোগকারী তরুণী জানিয়েছেন, দু’বছর ধরে মিথ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক রাখে,সহবাস করে। সহবাসের পাশপাশি আড়াই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পার্থ দাস।
তিনি আরও বলেন,’আমাকে বিয়ে করা তো দূর, অজান্তে যে ছবি-ভিডিও তুলেছে সেগুলি দিয়ে এখন আমাকে ব্ল্যাকমেল করছে। একটা ঠগ প্রতারক, আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে।’ এমনকি সেইসমস্ত ছবি প্রাক্তন স্বামীকেও পাঠায় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তদন্তের স্বার্থে যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। আদালতের কাছে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে তারা।