ছত্তিশগড়: মাওবাদের শিকড় দেশ থেকে উপড়ে ফেলতে কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার। সেই লক্ষ্যে ফের বড় সাফল্য ছত্তিশগড়ে। নারায়ণপুর-বিজাপুর সিমানায় অভিযান চালিয়ে নিকেশ করা হল ৩০ জন মাওবাদীকে। বুধবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে। গোটা এলাকা ঘিরে এখনও চলছে অভিযান। নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছত্তিশগড়ের অবুজমাঢ় এলাকায় অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে এক মাও কমান্ডার। সেইমতো এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এই অবস্থায় পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে, রীতিমতো মরিয়া হয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর ৩০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি গুলির লড়াই এখনও চলছে এলাকায়। অনুমান করা হচ্ছে, আরও বেশ কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে ওই এলাকায়। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাও অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, মোস্ট-ওয়ান্টেড মাও কমান্ডার হিদমা এবং ব্যাটালিয়ন প্রধান দেবা-সহ শীর্ষ নকশাল নেতাদের কাবু করতে জারি রয়েছে এই অভিযান। অপরেশনে রয়েছে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য পুলিশের সবকটি বাহিনী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়নস ফর রিজোলুট অ্যাকশন।