ক্ষোভ বাড়ছে মলয় পন্থীদের, ময়দানে ঋতব্রত

IMG-20250521-WA0269

দুর্গাপুর: অভিজিৎ ঘটক সকলের কাছে ফুচুদা নামে পরিচিত। যখনই কেউ বিপদে পড়ে তখনই এই নামটা আগে মাথায় আসে। জেলা যুব সভাপতি থেকে একধিক দায়িত্ব অনায়াসে সামলেছেন। ২০২১ যখন নেতারা পাঁচিলে বসেছিল সেসময় দায়িত্ব নিয়ে দুটো বিধানসভা জিতিয়ে দলনেত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন। ৪৪বছর পর জামুরিয়া বিধানসভায় জোড়াফুল ফোটানোর কারিগর অভিজিৎ ঘটক। লোকসভা উপনির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে আসানসোল করপোরেশন ভোট প্রত্যেকটি জয়ের রিয়েল হিরো অভিজিৎ ঘটক। শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পরে শ্রমিক সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলেছিলেন। কিছুদিন আগেই আসানসোলের সেনা সম্মান মিছিলে জনসমুদ্র তার প্রমাণ। এটাও সকলের জেনে রাখা দরকার ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে অভিজিৎ কারিস্মা সকলের নজর কাড়বে। শুধুমাত্র ৫০ নং ওয়ার্ড নয়, যেখানে কোনো নেতার টিকি খুজে পাওয়া যায় না সেই আসানসোল দক্ষিণেও প্রত্যেক মানুষের মনে অভিজিৎ ঘটক নাম টা লেখা আছে। এভাবেই সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট করে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটকের সমর্থনে মলয় পন্থীরা। কার্যত দুর্গাপুরে আই এন টি টি ইউ সির দুর্গাপুরে কোর কমিটি গঠন হওয়ার পরেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায় মলয় ঘটক পন্থীদের। কার্যত পঞ্চায়েত মন্ত্রির এক অনুগামি যার শ্রমিক আন্দোলনে কন অনুভব নাই তাকে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর নির্দেশে কোর কমিটিতে রাখা হয়েছে বলেই চর্চা শিল্পাঞ্চলে। ক্ষোভ বাড়ছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেও। কিভাবে তিনি ,লবিবাজির চক্রে পড়লেন তা নিয়েও জোর জল্পনা চলছে শিল্পাঞ্চলে। এদিকে বিরোধীরা জোর কটাক্ষ করেছে নতুন কোর কমিটিকে নিয়ে। বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই বলেন “ একদল কাটমানি পাচ্ছিল , একদল পাচ্ছিল না, ক্ষোভ বাড়ছিল তাই ভোটের আগে তাদের কাটমানি খাওয়ার সুযোগ করে দিল ওদের দলনেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রার্থী হন দুর্গাপুর থেকে তবেও দুর্গাপুরে ত্ররীণমুল জয় পাবে না।
সিপিএম জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন “একজন নেতার একজন করে এজেন্ট রাখা হয়েছে কাট্মানি খাওয়ার জন্য এটাই কোর কমিটি ফলে এতে শ্রমিকের কপালে আরও দুঃখ আছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement