জেলা থেকে শহরতলি, সরকারের কাছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন বকেয়া থাকায় পকেটে টান পড়েছে তাঁদের। একইসঙ্গে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন আন্দোলনে শামিল। ডিএ মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ২৫ শতাংশ ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের পর কিছুটা স্বস্তি সরকারি কর্মচারি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে। কিন্তু পেনসন ভোগী অবসরপ্রাপ্ত এক প্রধান শিক্ষক জানালেন, ২০১৪ সালে স্কুল থেকে অবসর নেওয়ার পর ভরসা পেনশনের টাকা। কিন্তু ওষুধের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে বকেয়া পেনশনের টাকা না পেলে সমস্যা বাড়ছে। সেচ দপ্তরে কর্মরত থাকা এক ব্যক্তি ২০১১ সালে অবসর নেন। অবশরের পর বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ও তিনি পেনশনের টাকায় সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। কিন্তু যেভাবে নিত্য জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে তিনি জানান বকেয়া পেনশনের টাকা পেলে দুজনের সুরাহা হয়। একই কথা শোনা গেল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি শিক্ষিকা যিনি দীর্ঘ দিন বেহালার একটা স্কুলে শিক্ষকতা করিয়েছেন। তিনি বলছিলেন, অবসর নেওয়ার পর থেকে আমাদের মতো নাগরিকদের বকেয়া পেনশনের জন্য যেভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা একপ্রকার দুঃসহ! বকেয়া টাকাটা পেলে একটু সুরাহা হয়।তবে, বাকি থাকা বকেয়া মহার্ঘ ভাতার জন্যও লড়াই চলবে বলে জানিয়েছে জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি।লড়াই চওড়া করার ডাক দিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, শুধু ডিএ মঞ্চের দাবিতে এই মঞ্চ তৈরী হয়নি। অনেক বেশি দায়বদ্ধ সরকারি দফতরগুলিতে যে বাকি শূন্য পদ পড়ে রয়েছে সেই পদে স্বচ্ছ পূরণের জন্য। একইসঙ্গে অনেক বেশি দায়বদ্ধ অস্থায়ী পদে যারা রয়েছে তাঁদের সঠিক দাবি পাইয়ে দেওয়ার জন্য। এই বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে সরকারি কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ‘আর্থিক পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করা যাবে না। মেলা, খেলায় কোটি কোটি টাকা খরচ করতে পারছে, আর ন্যায্য টাকা দেওয়ার বললেই টাকা নেই বলে দেবে, এ কেমন কথা!’