তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী

IMG-20250518-WA0257

ফের উত্তরবঙ্গে সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই সফরে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। আজ সকালে কলকাতা থেকে বাগডোগরা পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখান থেকেই শুরু হবে তাঁর তিন দিন ব্যাপী কর্মসূচি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শিল্পোন্নয়ন নিয়েও একগুচ্ছ ঘোষণা করেছিলেন। রাজ্যের একাধিক জেলায় ৪৩টি নতুন মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি গড়ার সিদ্ধান্তও ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই উত্তরবঙ্গ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  আজ বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এ বারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের পর্যটন, হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের সম্ভাবনার দিকটি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সূত্রেই প্রথম বার উত্তরবঙ্গে ‘সিনার্জি’ সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের পরামর্শ ও সমস্যাগুলি শুনবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আগামী দিনের পরিকল্পনার রূপরেখা পেশ করবেন। পরের দিন মঙ্গলবার ডাবগ্রামের ভিডিওকন গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের মানুষের হাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সফরের শেষ দিন, বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যা অডিটোরিয়ামে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা, জেলাশাসক ও প্রশাসনিক পদস্থ আধিকারিকেরা। উত্তরবঙ্গের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত উত্তরবঙ্গের খোঁজখবর রাখেন। উন্নয়নের গতি বজায় রাখতেই তাঁর এই সফর। তবে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। তাই তার আগে উত্তরবঙ্গের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করে সেখানকার মানুষের সমর্থন নিজেদের অনুকূলে আনতে চান মুখ্যমন্ত্রী। মূলত সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য। তবে রাজনৈতিক দিক থেকেও এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।কারণ, উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই গত কয়েক বছরে তৃণমূলের জনসমর্থন উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কেবলমাত্র কোচবিহার আসন শাসকদল জিততে পারলেও, তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে উপনির্বাচনের জয় এবং সংগঠন বৃদ্ধির কাজ ভাল ভাবেই গতি পেয়েছে। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলে যোগদানের পর থেকে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত মিলেছে। আটটি জেলায় গত কয়েক বছরে তৃণমূলের জনসমর্থন উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কেবলমাত্র কোচবিহার আসন শাসকদল জিততে পারলেও, তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে উপনির্বাচনের জয় এবং সংগঠন বৃদ্ধির কাজ ভাল ভাবেই গতি পেয়েছে। পদ্মশিবির একাধিক দিক থেকে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নমুখী প্রকল্প এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের ভিত্তিতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রভাব বাড়িয়েছে শাসকদল। এমন প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে এসে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বার্লার তৃণমূলে যোগদান নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই সফরে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement