কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, আমেরিকাকে কড়া জবাব ভারতের

IMG-20250513-WA0280

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিতে কয়েকদিন আগেই অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। তারপরেই পাল্টা হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। তাতে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছয়। যদিও শনিবার সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ।এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করে বসেন, আমেরিকার হস্তক্ষেপেই ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। পরবর্তীতে আরও একধাপ এগিয়ে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, কাশ্মীর ইস্যুতে আমেরিকা মধ্যস্থতা করতে তৈরি।তবে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় কোনও পক্ষের মধ্যস্ততা বরদাস্ত করবে না। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে ব্যবসার কোনও সম্পর্ক নেই। এর পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ছিল, আছে এবং থাকবে। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপের কাছে ভারত মাথা নুইয়েছে কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে রণধীর বলেন, “৭ মে, অপারেশন সিন্দুরের শুরু থেকে ১০ মে, সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা পর্যন্ত আমেরিকা এবং ভারতের নেতৃত্বের মধ্যে লাগাতার কথা হয়েছে। তৎকালীন উদ্ভুত সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বারবার। কিন্তু কোনও আলোচনায় ব্যবসার কথা উঠে আসেনি।” গত শনিবারও ট্রাম্পের দাবি ছিল তিনিই যুদ্ধবিরতির মধ্যস্ততা করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।” তারপর সোমবার তিনি দাবি করেন, “পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে চাপ দিয়ে সংঘর্ষবিরতি করেছি। যুদ্ধ না থামালে বাণিজ্যেও না, হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম। তাতেই কাজ হয়েছে।” ট্রাম্প স্পষ্ট বলেন, “আমিই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছি। উভয় দেশের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন।” তবে ট্রাম্পের দাবিকে নস্যাৎ করে আমেরিকাকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement