মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডে মৃত্যু হল আরও এক প্রসূতির। সূত্রে খবর, রবিবার রাত দশটায় এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন নাসরিন খাতুনের মৃত্যু হয়। গত ১২ জানুয়ারি থেকে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিল নাসরিন। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল নাসরিনের। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভেন্টিলেশনে ছিল নাসরিন। চার মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে রবিবার মৃত্যু নাসরিনের। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, স্যালাইনে বিষক্রিয়ায় যে কয়েকজন প্রসূতি অসুস্থ হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নাসরিনের সর্বকনিষ্ঠ। বয়স ১৯ বছর।
মৃতা নাসরিন খাতুনের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সিজার হওয়ার পর আবার অপারেশন করা হয় নাসরিন খাতুনের। দ্বিতীয়বার কেন অপারেশন হল, তা নিয়েও চিন্তিত ছিল নাসরিনের পরিবার। এরপর প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে ছিল। তখন ২০ শতাংশ আশার আলো দেখিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। অবস্থার বুঝে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। এতদিন সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দেননি নাসরিন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। সামনে আসে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের একাধিক বেনিয়ম। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের তত্ত্ব সামনে আসে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের স্যালাইন ও ১০টা ওষুধের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও পরবর্তীকালে তদন্তে স্যালাইনকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।