পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত।সেই অপারেশনে ব্যবহার হয়েছে ব্রহ্মস। এমনটাই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুরে’ছোড়া হয় ব্রহ্মস। এর ক্ষমতা সবাই বুঝতে পেরেছে। যদি কেউ সেটা বুঝতে না পারেন, তবে অবশ্যই পাকিস্তানকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।’ যদিও এ ব্যাপারে খোলসা করেনি ভারতীয় সেনা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে যোগী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা না গেলে কখনওই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই জঙ্গিদমন নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করে ভারত। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। লক্ষ্য করা হয়েছিল মূলত জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর ই তৈবার গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি। তবে সেই অভিযানে ভারত কোন কোন অস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছিল, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি ভারতীয় সেনা। যদিও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়, ভারত মূলত দুটি অস্ত্রই ব্যবহার করেছিল ‘অপারেশন সিন্দুরে’। স্ক্যাল্প ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র এবং হ্যামার প্রিসিশন-গাইডেড— রাফাল থেকে এই অস্ত্রই ছোড়ে সেনাবাহিনী। এই হামলায় যাতে সাধারণ নাগরিকের কোনও ক্ষতি না হয়, সেই দিকে জোর দিয়েছিল ভারত। অনেকের মতে, ভারতের এই দুই অস্ত্র ব্যবহার হল কৌশলগত পদক্ষেপেরই ফল। তবে কোথাও ব্রহ্মস ছোড়ার দাবি করা হয়নি। সেই আবহেই যোগীর দাবি নতুন করে জল্পনা উস্কে দিল।