সংঘাতের আবহে শনিবার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু সেই ঘোষণার আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সেই পোস্টে ট্রাম্প দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ক্রেডিট নিতেও দেখা যায়। আর এরপরেই দেশজুড়ে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি আমেরিকার চাপেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এই প্রেক্ষাপটেইযুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে আলোচনা চান লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। সেই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে রাহুলের দাবি, সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। সেখানেই ‘অপারেশন সিন্দুর’ এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চান রাহুল গান্ধি। দিন কয়েকের উত্তেজনার পর আচমকা সংঘর্ষবিরতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, আমেরিকার মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ থামাতে রাজি হয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকও সংঘর্ষবিরতির কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করেছে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও রাহুলের বক্তব্য, “পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাস, অপারেশন সিঁদুর এবং সংঘর্ষবিরতি সম্পর্ক জনপ্রতিনিধিদের সব তথ্য জানানো জরুরি। তাই আমি সম্মিলিত বিরোধীদের পক্ষ থেকে আরও একবার আপনাকে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমার অনুরোধ মানবেন।” রাহুলের দাবি, দেশের সামনে আগামী দিনে যে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে, সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে দেশ যে একজোট সেটা বোঝানোর জন্য সংসদের অধিবেশনের থেকে ভালো মঞ্চ হতে পারে না। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, বিরোধী শিবির জাতীয় স্বার্থে সরকারের পাশেই আছে। কিন্তু এবার পহেলগাঁও হামলা থেকে যুদ্ধবিরতি পর্যন্ত ঘটনাবলী সম্পর্কে বিরোধীদের তথ্য দেওয়া জরুরি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই যুদ্ধবিরতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন ঘোষণা করলেন, সেটা নিয়েও ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। বস্তুত সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে পহেলগাঁও হামলা সম্পর্কে আলোচনার দাবি বেশ কিছুদিন ধরেই জানিয়ে আসছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। শুধু রাহুল একা নন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও একই অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরই কংগ্রেসের মধ্যে থেকে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি উঠেছে। ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করে কংগ্রেসের তরফে পরবর্তী বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়। কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ স্মরণ করিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের কী করা উচিত। তিনি মনে করেন, তাঁর দাবিগুলি আগের তুলনায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে একটি সর্বদল বৈঠকের আহ্বান জানান জয়রাম।