ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি, দাবি ট্রাম্পের

IMG-20250510-WA0169

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি, দাবি ট্রাম্পের। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সংঘর্ষবিরতির দাবি ট্রাম্পের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার মধ্যস্থতায় দুই রাষ্ট্র সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘টানা কয়েক রাত আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দিনে আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী। দুই রাষ্ট্রকেই সাধুবাদ জানাই যুদ্ধে না জড়িয়ে বুদ্ধি দিয়ে বিচার করার জন্য। এটা একটা উদাহরণ হিসেবে থেকে যাবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, সামরিক সংঘাতের পথ ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে আবেদন জানায় চিনও। সীমান্তে পেশি প্রদর্শনের পরিবর্তে সংযম দেখানোর জন্য নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের কাছে আবেদন জানাতে দেখা যায় বেজিংকে। চিনা বিদেশ দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দু’পক্ষের কাছে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন করার এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক সমাধানের পথে ফিরে আসার আবেদন করছি। উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত আহ্বান জানাচ্ছি।’ একইসঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার এও জানায, ‘সীমান্তে তৈরি হওয়া সংঘাতের আবহ নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদ, কারও পক্ষেই লাভজনক হতে পারে না জানিয়ে বলেছে, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের মৌলিক স্বার্থের জন্যই একটি সুস্থিত এবং শান্তিপূর্ণ অঞ্চল প্রয়োজন।এরপরই শনিবার বিকেল ৫.৪৫ নাগাদ যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি লাগু হয়েছে। সূত্রের খবর, সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই এই সমঝোতা করতে আগ্রহী হয়। নিয়ম অনুযায়ী, জল, স্থল ও আকাশ পথে দুই দেশ একে অপরের ওপর আর আক্রমণ চালাবে না। প্রসঙ্গত, শনিবারই পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে ‘শান্তির’ বার্তা দেওয়া হয়েছিল। পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের বক্তব্য ছিল, ভারত আর আক্রমণ না করলে পাকিস্তানও করবে না। তবে তাঁদের ওপর হামলা হলে পাল্টা আঘাতের অধিকার তাঁদের রয়েছে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফও তাঁর আগের মন্তব্য থেকে সরে এসে যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি মনে করেন খুব দ্রুত উত্তাপ কমে আসবে দুই দেশের মধ্যে। ফলত হলও তাই। শনিবারই ভারত এবং পাকিস্তান – দু’তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা আর সংঘাতে যাবে না।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement