ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে এবার কলকাতা বিমানবন্দরে জারি হাই অ্যালার্ট। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় পহেলগাঁওয়ের হামলার পর থেকেই। এরপর বারতের তরফ থেকে শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অপারেশনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে জবাবও দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপরও পাকিস্তান থেকে আসে আক্রমণ। বৃহস্পতিবার রাতেই জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, পঞ্জাবের একাধিক জায়গায় লাগাতার ড্রোন-মিসাইল দিয়ে হামলা চালালেও ভারত প্রতিটি হামলাই আটকে দিয়েছে।
এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হাই অ্যালার্ট বিমানবন্দরগুলিতেও। ২০টি বিমানবন্দরে নোম জারি করা হয়েছে। বাকি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতেও নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সূত্রে খবর, শুক্রবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে ডিসি ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করবে।
এদিকে বাতিল করা হয়েছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মী ও আধিকারিকদের সমস্ত ছুটিও। যারা আগে ছুটিতে গিয়েছিলেন, তাদেরকেও কল ব্যাক করানো হয়েছে। অবিলম্বে ডিউটিতে যোগ দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত,
বৃহস্পতিবারই যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে সিআইএসএফের ডিআইজি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর ও বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে। এদিকে ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর চত্বরে অ্যারাইভাল, ডিপারচারে কোন গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না বলে সূত্রে খবর। অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেড় ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।