মুম্বই: মঙ্গলবারই এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তুলেছিলেন। সেই রাতেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ হয়েছে। তার পরেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় দলের কোচ কী লিখেছেন পোস্টে? গম্ভীর মাত্র দু’টি শব্দ পোস্ট করেছেন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর যে ছবি ভারতীয় সেনাবাহিনির তরফে পোস্ট করা হয়েছিল, সেটিই পোস্ট করেছেন গম্ভীর। সঙ্গে লিখেছেন, ‘জয় হিন্দ’। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা উচিত কি না। গম্ভীর বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জবাব, না। ক্রিকেট ম্যাচ, বলিউডের ছবি বা শিল্প, কোনও কিছুই দেশের মানুষ ও জওয়ানদের জীবনের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। তার মধ্যে ক্রিকেটও পড়ে। আমি সরকারের কাছে এই আবেদনই করব। কড়া জবাব দিতে হবে।” গম্ভীরের এই কথা থেকে স্পষ্ট হয়েছিল, তিনি দু’দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্কও বন্ধ করে দিতে চান। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির কাছে আবেদন করেছে, আইসিসি প্রতিযোগিতায় ভারত-পাকিস্তানকে এক গ্রুপে যাতে না রাখা হয়। অর্থাৎ শুধু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, আইসিসি প্রতিযোগিতাতেও পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে চাইছে না ভারত। গম্ভীরও সেই কথাই বললেন। তবে কি এ বার পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট? তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন গম্ভীর। সমাজমাধ্যমে নিন্দা করেছিলেন। লিখেছিলেন, “মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। যারা এই কাজের জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। ভারত পাল্টা আঘাত হানবেই।” পর দিনই হুমকি পেয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রধান কোচ। তাঁকে ইমেলে হুমকিবার্তা পাঠিয়েছিল ‘আইসিস কাশ্মীর’। দুপুরে প্রথম ইমেল পান গম্ভীর। দ্বিতীয়টি পান বিকেলে। দু’টি ইমেলেই লেখা ছিল, ‘আইকিলইউ’। যার অর্থ, আমি তোমায় মেরে ফেলব। গম্ভীর দেরি করেননি। সঙ্গে সঙ্গে রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার কথা জানিয়েছেন মধ্য দিল্লির ডিসিপিকেও। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তিনি। তাঁর পরিবার যাতে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকে তার জন্যও পুলিশকে উদ্যোগী হতে বলেন তিনি।