নয়া দিল্লি: দেশের মাটিতে মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র চার মাস। বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামবে আটটি দেশ। আরও এক বার হরমনপ্রীত কউর, স্মৃতি মন্ধানার উপর ভরসা করছে গোটা দেশ। তাঁদের কাঁধেই ভারতকে প্রথম বারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার গুরুদায়িত্ব। হরমনপ্রীত ও মন্ধানা ভারতের মহিলাদের দলের রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। কিন্তু শুধু রোহিত বা বিরাট কি বিশ্বকাপ জেতাতে পারেন? তার জন্য তো শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়ালদেরও দরকার। মহিলাদের দলে সেই দায়িত্ব কে নেবেন? উঠে এসেছেন হরিয়ানার এক মেয়ে। মাত্র ২৪ বছর বয়স। জাতীয় দলে তাঁর কেরিয়ার মাত্র ছ’মাসের। তার মধ্যেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন প্রতীকা। তিনিই ভরসা জোগাচ্ছেন বাকিদের। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই হয়তো ভারতের মহিলা দলে গত ছ’মাসে ১০ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে। প্রতীকা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন বাংলার তিতাস সাধু। বাকিরা হলেন— মিন্নু মণি, তেজল হাসবনিস, সাইমা ঠাকোর, প্রিয়া মিশ্র, কাশভি গৌতম, তনুজা কানওয়ার, সায়ালি সাতঘারে ও শ্রী চরণি। নির্বাচকেরা চেয়েছিলেন হাতে বিকল্প রাখতে। সেই কাজে তাঁরা অনেকটাই সফল। এই ১০ নতুন ক্রিকেটার ছাড়াও স্নেহ রানার মতো অভিজ্ঞের প্রত্যাবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের ১৫ জনের দল তৈরি করতে বেজায় সমস্যায় পড়তে হবে নির্বাচকদের। কাকে রাখবেন, আর কাকে ছাড়বেন, তা বাছা মোটেও সহজ নয়। তবে এই ১০ জনের মধ্যে এক জনের জায়গা নিশ্চিত দলে। তিনি ওপেনার প্রতীকা। মন্ধানার সঙ্গে বিশ্বকাপে ভারতকে ভাল শুরু করানোর দায়িত্ব তাঁর উপরেই থাকবে। গত বছর অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই দুই ওপেনারের নাম ছিল স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মা। ভারতীয় ক্রিকেটে যখন শেফালির অভিষেক হয়েছিল, মনে হয়েছিল মহিলাদের বীরেন্দ্র সহবাগকে পাওয়া গিয়েছে। যিনি তিনটি ফরম্যাটেই একই ভাবে খেলেন। প্রথম বল থেকে চালিয়ে খেলেন। দ্রুত খেলার রং বদলে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত ছিলেন শেফালি। গত বছরই টেস্টে মহিলা ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম দ্বিশতরান করেছিলেন তিনি। মাত্র ১৯৪ বলে। সহবাগের মতোই ১০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে দ্বিশতরান মুখের কথা নয়। কিন্তু একটা সিরিজ় পুরো ছবিটা বদলে দিল।