জঙ্গি দমনে ফের হুঙ্কার মোদীর

IMG-20250503-WA0312

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই আবহে আরও একবার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চ়়ড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে নির্মূল করার ব্যাপারে ভারত যে বদ্ধপরিকর, সেই কথা শনিবার আরও একবার স্মরণ করালেন মোদী। তাঁর হুঙ্কার, শুধু জঙ্গি নয়, তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধেও চরম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পহেলগাঁও নিয়ে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত। যদিও পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, পহেলগাঁও ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই তারা যুক্ত নয়! পহেলগাঁওয়ের পর বিশ্বের প্রায় সব দেশই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে কেউই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস করার লক্ষ্যে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। শনিবার নয়াদিল্লিতে অঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট জোয়া লরেঙ্কোর সঙ্গে দেখা করেন মোদী। সেখানে পহেলগাঁওয়ে নিহত ২৬ জনের পরিজনদের উদ্দেশে সমবেদনা জানান সে দেশের প্রেসিডেন্ট। সেই কথা স্মরণ করে মোদী বলেন, ‘‘আমরা একমত যে, সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি!’’ একই সঙ্গে জোয়া লরেঙ্কোকে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীরা ছাড় পাবে না। সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দিতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু। আমরা সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” একই সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার পর যেভাবে অ্যাঙ্গোলা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেজন্য সেদেশের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “ভারতের আত্মায় আঘাত করার দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, তারা ছাড় পাবে না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক, তাদের খুঁজে বের করে মারবে ভারত।” শুধু তাই নয়, যারা এই সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, যারা আড়াল থেকে সাহায্য করে, তাদের যেটুকু অস্তিত্ব অবশিষ্ট আছে, সেটাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পর ভারত একাধিক পদক্ষেপ করেছে। তবে এখনও পহেলগাঁও হামলার মূল অভিযুক্তরা মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। আবার সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপও করছে নয়াদিল্লি। তবে এখনও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বা মদতদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনওরকম সামরিক পদক্ষেপ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ফের প্রধানমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। এর মধ্যে অন্যতম অটারী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া। এ ছাড়াও পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতও করেছে নয়াদিল্লি। নতুন পদক্ষেপ হিসাবে পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, সমস্ত আমদানি বন্ধ করেছে নয়াদিল্লি। বাণিজ্য মন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে তৈরি কোনও পণ্য সরাসরি বা ঘুরপথে আমদানি অবিলম্বে বন্ধ করা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা এবং সরকারি নীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না-হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement