দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের বঙ্গ রাজনীতির ভরকেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ। গত ২ দিন বিজেপির কোনও অফিসিয়াল কর্মসূচিতে যে তাঁকে রাখা হয়নি, শনিবার নিজেই সেকথা স্বীকার করলেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমার তো অফিশিয়াল কোনও কর্মসূচি নেই। সকালে মিডিয়া করছি। অরাজনৈতিক প্রোগ্রামে যাচ্ছি। সকাল থেকে মিডিয়া, কত লোক দেখা করতে আসে। তাদের সময় দিতে হয়। সেটা তো কর্মসূচির মধ্যে থাকে না। নিজের কর্মসূচি নিজেই তৈরি করি। সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই। সব কর্মসূচি লেখা থাকে না। আর আমি সেটা নিয়ে কোনও দিনই ভাবিত নই।’বরং পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চান,গত ৩ বছরে তিনি দলের কোন কর্মসূচিতে ছিলেন তা নিয়েও।
প্রসঙ্গত, বিয়ের পর সস্ত্রীক দিলীপের দিঘার মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা ভালো চোখে দেখেনি বিজেপি! দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ থেকে বিধায়ক অশোক দিন্দা সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। অশোক দিন্দা আক্রমণ করে বলেন,যখন হিন্দুরা মার খাচ্ছেন, তখন সেখানে যাচ্ছেন না। জগন্নাথ মন্দিরে চলে গেলেন।’ মুর্শিদাবাদের অশান্তির আবহে দিলীপের বিয়ে করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দিন্দা। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁকে ক্লোজড চ্যাপ্টার বলেছেন।
এই নিয়ে কারও নাম না করে দিলীপ বলেন,’আগেও এরকম অনেকে বলেছে। পরে পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। হঠাৎ বিজেপি যারা, তারা অনেক কিছু বলবে। তার উত্তর দেওয়ারও দরকার নেই। সবার বলার অধিকার আছে। আমি কারও সমর্থন চাই না। আমি নিজের প্রিন্সিপ্যাল মেনে কাজ করি। দিল্লিতে যখন বিমানে করে নিয়ে গিয়ে লোক জয়েন করানো হত, তখন আমাকে ডাকা হত। আমি যেতাম না। বলেছিলাম আমি বাংলার রাজনীতি করি। আমি কোনওদিন কারও বাড়ির সামনে হাতজোড় করে দাঁড়াইনি। দিল্লিতে কারও অ্যাপয়েনমেন্ট চাইনি। আমি মমতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওখানে গিয়ে যে সৌজন্য দেখিয়েছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেটা দেখাতে পারেননি। ‘সঙ্গে এও মনে করিয়ে দেন, তিনি বাংলার রাজনীতি করেন। আর পার্টিও দাঁড় করিয়েছেন তিনিই। সেই পার্টিতে যারা অন্য দল থেকে এসেছে, তারা এখন বড় বড় কথা বলছে।