বিজেপি মন্দিরে মন্দিরে ভেদাভেদ করে না: দিলীপ

IMG-20250502-WA0266

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সস্ত্রীক দেবদর্শন করতে গিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু প্রশ্নই নয়, দলের একাংশ দিলীপ ঘোষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। দলীয় কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে দেখা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণকে ‘সম্মান’ জানিয়ে বুধবার দিঘার জগন্নাথধাম গিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে নববিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু! কিন্তু দিলীপের এই দিঘা যাত্রা ‘সহজ’ভাবে নেয়নি বিজেপির একাংশ। তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ থেকে ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়া থেকে শুরু করেপদ্মশিবিরের একাধিক ছোট-বড়-মাঝারি নেতারা কটাক্ষ করেন দিলীপকে! এরপর শুক্রবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে এই ইস্যুতে অবশ্য একেবারে নিজস্ব কায়দাতেই জবাব দেন তিনি৷ স্পষ্ট জানিয়ে দেন,‘দিলীপ ঘোষ লড়াই করেছিল। লড়াই করবে। দিলীপ ঘোষ বিজেপিটা বোঝে।’
এদিন সমালোচকদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন,‘যাঁরা এইসব বিশ্লেষণ করছেন তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ওরকমই। এদের অনেকে আমার পিছনে ঘুরঘুর করত। ১ লাখ ২ লাখ টাকার জন্য ঘুরত। কেউ আমার বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছিল। কেউ আমার উপদেষ্টা হয়ে গেছিল। আবার জমা পাল্টে এখন আমাকে উপদেশ দিচ্ছেন। এরা সব অন্ন দাস। আর দিলীপ ঘোষ বুক ফুলিয়ে ঘুরবে। কারণ দিলীপ ঘোষ কারোর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে চলে না।’
এখানেই শেষ নয়, এরপর একেবারে চ্যালেঞ্জের সুরে জানান, ‘যারা এখন টিভি তে এই কথা শুনছেন তাদের সবাইকে চ্যালেঞ্জ করছি,পারলে প্রমাণ দিন দিলীপ ঘোষ কখনও কোনওদিন কোনও তৃণমূল নেতাকে ফোন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ছেড়ে দিন। তারা দরকার হলে দিলীপ ঘোষকে ফোন করেছে। কেউ বলতে পারবে না আমি কোনও অ্যাপ এর মাধ্যমে গোপনে ফোন করেছি। বা রাতের বেলা কালীঘাটের বাড়ি গেছি। ’সঙ্গে এও জানান,‘আমি বলছি ওই জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে যদি কেউ মাথানত করে তাহলে সে তৃণমূল হয়ে যাবে? মানুষকে এতো বোকা ভাবেন আপনারা? সিপিএম একসময় বলত ওই বিবেকানন্দ আর এই বিবেকানন্দ। ওটা নাকি আরএসএস-এর বিবেকানন্দ। তৃণমূল বলত রামায়ণের রাম আলাদা আর বিজেপির রাম আলাদা। আমরা সেটা মনে করি না। পুরীর জগন্নাথ আর দিঘার জগন্নাথ এক। যার যেখানে ইচ্ছা গিয়ে প্রণাম করবেন। সবাই বলে বিজেপি মন্দির রাজনীতি করে। একশো বার করে। কিন্তু মন্দিরে মন্দিরে ভেদাভেদ করে না।’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement